নকল সাপ্লিমেন্ট থেকে সাবধান

পেশিবহুল দেহ তৈরি করতে গিয়ে অনেকেই ‘সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণ করেন। তবে নকল হতে সাবধান।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2018, 09:57 AM
Updated : 11 Sept 2018, 09:57 AM

সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে। ফলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে সুঠাম দেহ গঠনের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে পেশিবহুল শরীর গঠনের জন্য সাপ্লিমেন্টের চাহিদা।

তবে সাবধান ধাকতে হবে নকল সাপ্লিমেন্ট থেকে।

শুধু নকল উপাদানই নয়, অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিকর এবং অপরীক্ষিত উপাদান যোগ করছেন এসব ‘সাপ্লিমেন্ট’জাতীয় খাবারের সঙ্গে, যা শরীর গঠনে উপকারী নয় বরং স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। 

এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এমন তরুণদের ৮০ শতাংশই কোনো না কোনো ধরনের ভোজ্য ‘সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণ করেন।

জরিপ থেকে বাজার বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন- ২০২০ সাল নাগাদ এই খাতে বাণিজ্যের মাত্রা দ্বিগুন হতে পারে। চাহিদা বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হল এই উপমহাদেশের বেশিরভাগ মানুষের খাদ্যাভ্যাসেই সবজির মাত্রা বেশি, তবে দ্রুত কার্যক্ষম প্রোটিনের মাত্রা কম। এই ঘাটতি পূরণ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ‘সাপ্লিমেন্ট’।

শরীরচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে নকল ‘সাপ্লিমেন্ট’ চেনার কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল।

হলগ্রাম স্টিকার: ‘সাপ্লিমেন্ট’ আসল নাকি নকল চেনার একটি অন্যতম উপায় হল হলগ্রাম স্টিকার। সিংহভাগ নকল ‘সাপ্লিমেন্ট’ তৈরি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিবেশে, যাদের কাছে আসল ‘সাপ্লিমেন্ট’য়ের হলগ্রাম স্টিকার পুরোপুরি নকল করার প্রযুক্তি থাকে না বললেই চলে।

বারকোড: বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই আছে স্মার্টফোন, আর প্রায় সবগুলোতেই থাকে বারকোড এবং কিউআর কোড স্ক্যান করার সুবিধা। তাই কেনার আগে পণ্যের গায়ের বারকোড কিংবা কিউআর কোড স্ক্যান করে নিতে হবে। আসলে ‘সাপ্লিমেন্ট’য়ের কোড স্ক্যান করলে তাদের ওয়েবসাইটে পৌঁছে যাবেন।

প্যাকেট বা কৌটার মান: এই ব্যাপারে কিছুটা বুদ্ধি খাটাতে হবে। বানান ভুল থাকতে পারে, লেখার ফন্ট অন্যরকম হতে পারে, মনোগ্রামে ভিন্নতা থাকতে পারে, থাকতে পারে পুষ্টিগুণের ভুলভাল তথ্য।

সিল পরীক্ষা: প্যাকেটের গায়ের সিল যদি অন্যরকম লাগে কিংবা গুণগত মান খারাপ মনে হয়, তবে ধরে নিতেই পারেন এতে ঝামেলা আছে।

পানিতে গুলিয়ে দেখা: এক চামচ পরিমাণ ‘সাপ্লিমেন্ট’ স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গুলিয়ে দেখতে হবে। আসল ‘সাপ্লিমেন্ট’ পানিতে পুরোপুরি মিশে যাবে। তবে নকল হলে পানিতে সামান্য অবশিষ্ট থেকে যাবে।