হাতের কাছে রাখুন প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম

দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি কিংবা হঠাৎ অসুস্থতায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জরুরি জিনিসগুলো হাতের কাছে পেতে গুছিয়ে রাখুন ‘ফার্স্ট এইড বক্স’।

লাইস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2018, 09:06 AM
Updated : 7 August 2018, 09:06 AM

যেকোনো দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তির জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসায় দুর্ঘটনায় ক্ষতির মাত্রা যেমন কমানো যায় তেমনি আক্রান্ত ব্যক্তি সেরেও ওঠেন দ্রুত। তবে ভুল প্রাথমিক চিকিৎসায় বা ভুল সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে ক্ষতির মাত্রা সামান্য থেকে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

তাই স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জরুরি মুহূর্তে কাজে লাগবে এরকম জিনিসগুলোর একটা তালিকা এখানে দেওয়া হল।

অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম: কাটাছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধার আগে তা পরিষ্কার করা জরুরি। তাই প্রথম কাজ হবে ক্ষতস্থানে ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’ বা জীবাণুনাষক ক্রিম বা লোশন দিয়ে তা পরিষ্কার করা। আর এই ক্রিম বা লোশন প্রয়োগ করতে ক্ষতস্থানে পুঁজ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।

ব্যান্ডেজ: ক্ষতস্থান খোলা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ খোলা থাকলেই জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন আকারের আঠাযুক্ত ব্যান্ডেজ আদর্শ। বাসায় পোষা প্রাণী থাকলে পশু-পাখির জন্য তৈরি ব্যান্ডেজও রাখতে পারেন।

টুইজার ও কাঁচি: চিমটা বা টুইজার ক্ষতস্থান থেকে ধুলাবালির কণা ও অন্যান্য বস্তু অপসারণের জন্য কার্যকর। একাধিক চিমটা রাখা এবং প্রতিবার ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে জীবাণুনাষক উপাদান দিয়ে পরিষ্কার করা আবশ্যক। তবে ক্ষতস্থানে চিমটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

আর ব্যান্ডেজ বা কিছু কাটার জন্য কাঁচিও রাখা দরকার।

টেপ ও গজ: রক্তপাত বন্ধ করতে দুটাই প্রয়োজন। দুটো মিলিয়ে বড় ব্যান্ডেজ তৈরি করতে হবে। এরপর গজে জীবাণুনাষক ক্রিম মাখিয়ে তা দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দিতে হবে। শিশু ও পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর। কারণ এই ব্যান্ডেজ সহজে তুলে ফেলতে পারবেনা।

ব্যথানাশক স্প্রে কিংবা টিউব: মাথাব্যথা, পেশিতে টান পড়া এবং পিঠ কিংবা শরীর ব্যথার ক্ষেত্রে এই ব্যথানাশক স্প্রে কিংবা ক্রিমের টিউব জরুরি। ব্যথার স্থানে ‘হিটিং প্যাড’ এবং স্প্রে একত্রে প্রয়োগ সর্বোত্তম উপায়। তবে স্প্রে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে।

ব্যথানাশক ওষুধ: মৃদুমাত্রার ব্যথা সারাবার ওষুধ শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে নয়, দৈনন্দিন ব্যবহার্য ব্যাগে রাখাও জরুরি। তবে সামান্য ব্যথাতেই টপ করে ওষুধ খাওয়াও ঠিক নয়।

থার্মোমিটার ও জ্বরের ওষুধ: প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে থার্মোমিটার না থাকলে তা অসম্পূর্ণ। জ্বর হলে বা জ্বরের অনুভূতি হলে আগে শরীরের তাপমাত্রা মেপে তারপর ওষুধ খেতে হবে।

অ্যালার্জির ওষুধ: বিভিন্ন খাবার ও পরিবেশে মানুষের অ্যালার্জি থাকে। অনেকসময় একজন ব্যক্তি নিজেই জানেন না তার কোন কোন জিনিসে অ্যালার্জি আছে। তাই অ্যালার্জির ওষুধ সবসময় সঙ্গে রাখা উচিত। আর প্র্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সেও রাখতে হবে।

মনে রাখুন

শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স থাকলেই চলবে না, তা এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনের সময় যে কেউ সেটা ব্যবহার করতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে বাক্সের কোনো ওষুধের মেয়াদ পার হয়েছে কি না, হলে তা পাল্টে নতুন ওষুধ রাখতে হবে। পরিবারের সবাইকে এই সরঞ্জামের ব্যবহার শেখাতে হবে।