চাপ, হতাশা, ঘুমের অভাব ইত্যাদি নানান কারণে চোখের নিচে দেখা দিতে পারে কালচেভাব। তাছাড়া এটা শরীরে নানান পুষ্টির ঘাটতিও নির্দেশ করে।
আর পুষ্টির অভাব থেকে চোখের আশপাশে কালচেভাব দেখা দিলে যেসব খাবারে এই পুষ্টির অভাব দূর হবে সেগুলোর নাম পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দেওয়া হল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, পরিবেশের দূষণ, ধূমপান ইত্যাদির কারণে শরীরের পরিবর্তন আসে। ফলে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় দূর করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে কোলাজেন বৃদ্ধি করে। বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ত্বক সুস্থ সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য উপকারী। যেমন-
ভিটামিন সি: সিট্রাস বা টকজাতীয় ফল, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, কাঁচা ও লাল মরিচ ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই: কাঠবাদাম, বাদাম, কাঁচা-বীজ, জলপাই, ব্রকলি পাতাবহুল শাক যেমন- পালং, কলি ইত্যাদিতে।
লাইকোপিন: টমেটো, পেঁপে, তরমুজ, পেয়ারা, মূলজাতীয় সবজি ও লাল বাঁধাকপিতে পাওয়া যায়।
রেসভেরাট্রল: লাল আঙ্গুর, ব্লুবেরি, ডার্ক চকোলেট এবং পিনাট বাটারে পাওয়া যায়
লৌহ: চোখের নিচে কালো দাগ আয়রনের ঘাটতি নির্দেশ করে। যদি ক্লান্তভাব ও দুর্বল অনুভব করেন তাহলে লৌহসমৃদ্ধ খাবার খান। লৌহের ঘাটতি শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবারহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ত্বক নির্জীব দেখায় এবং রংয়ের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।
গাঢ় সবুজ সবজি, ডালজাতীয় খাবার, টফু, কুমড়ার বীজ, শুকনা ফল, জলপাই, আলু, মাশরুম, তাজা মাছ ও মাংস শরীর সুস্থ রাখতে লৌহ সরবারহ করে।
ভিটামিন কে: চর্বি-সমৃদ্ধ এই ভিটামিন চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। ত্বকের ক্ষয়, রংয়ের অনুজ্জ্বলতা ও দাগ দূর করে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে টানটানভাব আনে।
সিরিয়াল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সবুজ-পালং, কলি বা পাতাবহুল সবজি, ডিম, মাছ ও মাংস থেকে ভিটামিন কে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন