মাথাব্যথা, খিঁচুনি বা জ্ঞান হারানোর মতো বিষয়গুলো ঘটতে থাকলে অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।
Published : 18 Jul 2018, 03:07 PM
পরিসংখ্যান বলে, বিশ্বব্যাপী মাত্র এক শতাংশ মানুষ মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হয়। তবে চিন্তার বিষয় হল, এই ব্যাধির বেশিরভাগ উপসর্গ সাধারণ মাথাব্যথা কিংবা মাইগ্রেইনের ব্যথার হিসেবে অবহেলিত রয়ে যায়। তাই মস্তিষ্কের টিউমারের এই লুকানো উপসর্গগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এসব লক্ষণ প্রতিষ্ঠিত। আর সেসব নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ‘বেইন টিউমার’য়ের কয়েকটি আভাস এখানে দেওয়া হল।
ঘনঘন মাথাব্যথা: মস্তিষ্কের টিউমারের একটি সাধারণ উপসর্গ হল দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা। ওষুধ খেয়ে সাময়িক আরাম মিলতে পারে, তবে টিউমারের কারণে ব্যথা হলে রোগের বীজ মস্তিষ্কেই থেকে যাবে। ভবিষ্যতে এই টিউমার হতে পারে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কারণ। এ ধরনের মাথাব্যথা সময়ের সঙ্গে আরও তীব্র হতে থাকে এবং ঘুম থেকে ওঠার পরপরই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। তাই সঠিক কারণ জানতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া: মস্তিষ্কের টিউমারের আরেকটি উপসর্গ হল দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া কিংবা একেবারে লোপ পাওয়া। কখনও চোখে ঝাপসা দেখবেন, আবার ঠিক হয়ে যাবে। কিংবা কিছুক্ষণের জন্য কিছুই দেখতে পাবেন না। বসা থেকে দ্রুত উঠে দাঁড়ালে কিংবা বসার ধরন পরিবর্তন করলে এমনটা হতে পারে।
দুর্বলতা: টিউমার বড় হওয়া শুরু করলে ক্রমেই দুর্বল এবং অলসতা অনুভব করবেন। কারণ টিউমার বড় হতে থাকার কারণে মস্তিষ্ক তার চাপে ছোট হতে থাকে, যা ঘুমানোর অভ্যাস নষ্ট করে দিতে পারে। আর ঘুমের সমস্যা হওয়ার জন্য সারাদিন শরীর ঝিম মেরে থাকা এবং অলসতা দেখা দেবে।
খিঁচুনি ও জ্ঞান হারানো: এগুলো এই রোগের প্রধান লক্ষণ। যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ব্রেইন টিউমার চ্যারিটি’র ভাষ্য, যারা খিঁচুনি ও জ্ঞান হারানোর শিকার হয়েছে তাদের দ্রুত এর কারণ জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শরীরের ভারসাম্য হারানো: মস্তিষ্ক রোগাক্রান্ত হলে তা সবধরনের নড়াচড়াতে প্রভাবিত করে। তাই যদি হাঁটতে সমস্যা হয় কিংবা কোনো এক দিকে বাঁকা হতে কষ্ট হয়, তবে মস্তিষ্ক ও শরীরের মধ্যে সমন্বয় এবং ভারসাম্য নেই।
প্রজনন অক্ষমতা: মস্তিষ্কের সমস্যার কারণে শরীরের হরমোন তৈরি মাত্রাও প্রভাবিত হতে পারে। মস্তিষ্কে টিউমার থাকলে তা পিটুইটারি গ্ল্যান্ডকে প্রভাবিত করবে, ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি হবে যা অন্যান্য গ্রন্থির কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটাবে।
মডেল আলিফ। ছবি: ই স্টুডিও।