ইয়োগা ম্যাটের পরিচর্যা

ব্যায়ামের জন্য যে ম্যাট বা মাদুর ব্যবহার করছেন সেটা নোংরা হয় প্রতিদিনই। তাই প্রয়োজন সঠিক যত্ন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2018, 09:53 AM
Updated : 11 July 2018, 09:53 AM

যে ম্যাটের ওপর শুয়ে, বসে কিংবা দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করলেন, ব্যায়াম শেষে তাকে গোল পাকিয়ে এক কোণায় ফেলে রেখে দিলেন। এমনটা হলে ম্যাট প্রচণ্ড নোংরা হবে, দ্রুত ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে।

শরীরচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ব্যায়ামের ম্যাট বা মাদুর যত্নে রাখার কয়েকটি কৌশল এখানে দেওয়া হল।  

দুই পাশ ব্যবহার: শুধু এক পাশ ব্যবহার করলে সেই পাশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে আর অপর দিক নতুনই থেকে যাবে। এতে মাদুরটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে না। তাই দুপাশই নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

আলো-বাতাস: ব্যায়ামের সময় প্রচুর ঘাম ঝরবে শরীর থেকে। যার বেশিরভাগই শুষে নেবে আপনার ব্যায়ামের মাদুর। ব্যায়াম শেষে সঙ্গেসঙ্গেই এই ঘামে ভেজা মাদুর গোল করে রেখে দিলে তাতে ছত্রাক জন্মাতে পারে কিংবা তা দ্রুত ছিঁড়ে যেতে পারে। পরে এই মাদুর ব্যবহারের কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই ব্যায়াম শেষে মাদুরটিকে কিছুক্ষণ রোদে দিতে হবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে যে, বেশিক্ষণ রোদে রাখলে মাদুরে দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মাটি থেকে দূরে: মাদুরে ওঠার আগে পা থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে নিতে হবে। ঘরে ব্যবহার করলেও পা মুছে মাদুরে ওঠার অভ্যাস করতে হবে।

ধোয়া: মাদুর যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তবে মাসে দুই থেকে তিনবার তা ধুতে হবে। তবে শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান বা যন্ত্র দিয়ে নয়। বরং হালকা কোনো সাবান দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার বাতাসে শুকানোর জন্য কোথাও ঝুলিয়ে রাখুন। সরাসারি রোদে রাখা যাবে না।

যেভাবে রাখবেন: মাদুরটি খাটের নিচের মেঝেতে বিছিয়ে রাখতে পারেন। আর গোল করে পেচিয়ে রাখতে চাইলে খেয়াল রাখতে হবে মাদুরটি যাতে অতিরিক্ত টানটান অবস্থায় না থাকে। টানটান হয়ে থাকলে মাদুরটির ভেজাভাব দূর হবে না, ফলে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধবে। এছাড়াও মাদুরটি দ্রুত ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।

ব্যক্তিগত ব্যবহার্য: নিজের তোয়ালে, রুমাল যেমন ব্যক্তিগত ব্যবহার্য, তেমনি আপনার মাদুরটিও হবে একান্ত ব্যক্তিগত, যা আর কেউ ব্যবহার করবে না। নাহলে অন্যের ঘাম আপনার শরীরে লাগবে, ছড়াবে বিভিন্ন চর্মরোগ ও সর্দি-কাশির জীবাণু।

মাদুর কেনার সময় উপকরণ এবং গুনগত মান দেখে নিতে হবে। রাবার, পিভিসি, পাট ও কাপড়ের মাদুর পাওয়া যায় বাজারে। মাদুরের উপাদান এমন হওয়া উচিত যা মাটিতে আটকে থাকে।

কিছু ম্যাট বা মাদুরে ‘পলিইউরেথাইন’য়ের একটি আস্তর থাকে, যা উপকারী নয়। কারণ এতে গন্ধ হয় এবং রাসায়নিক উপাদান যুক্ত থাকে।

বসে করা যায় এমন ব্যায়ামের জন্য কাপড় কিংবা পাটের মাদুর যথেষ্ট। ভার ব্যায়ামের জন্য রাবারের মাদুর আদর্শ।

দাম দিয়ে হলেও ভালোমানের মাদুর ম্যাট কেনা উচিত। আর এতে থাকা চাই পর্যাপ্ত পুরুত্ব এবং উপকরণ হওয়া চাই শক্তিশালী।

আরও পড়ুন