মুখের সুস্থতায় যেসব খাবার এড়ানো ভালো

বেশ কয়েক ধরনের খাবার মুখের ভেতর নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। সেসব খাবার বাদ দিতে না পারলেও যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2018, 08:22 AM
Updated : 6 July 2018, 08:22 AM

মুখের যত্ন মানেই দাঁত পরিষ্কার রাখা, মুখে যাতে দুর্গন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, ফ্লসিং করা আর চিনিজাতীয় খাবার কম খাওয়া। এসব সাধারণ বিষয় খেয়াল রাখলে মুখগহ্বরে নানান জটিলতা এড়ানো যায়। পাশাপাশি কয়েকটি খাবারও যদি এড়িয়ে চলা যায় তবে দাঁত ও মুখ থাকবে সুস্থ।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাঁত ও মুখের সুস্থতায় বেশ কয়েকটি খাবার এড়িয়ে যেতে বা কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এসব খাবার মুখগহ্বরে জটিলতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।

মিন্ট: মিন্ট মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। তবে মিন্ট যুক্ত চকলেট বা চুইংগামে থাকে চিনি। চিনিযুক্ত মিন্ট বেশি খাওয়া হলে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বংশ বৃদ্ধি হতে পারে। ফলে দাঁত নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মুখের ভেতর বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তাই মিন্ট হতে হবে সুগার-ফ্রি অর্থাৎ চিনিহীন।

সূর্যমুখী বীজ:
বীজটি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে এর শক্ত খোলসটা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এক্ষেত্রে দন্ত চিকিৎসকরা খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

শুষ্ক ফল: ভিটামিন আর ভোজ্য আঁশে ভরপুর থাকে প্রতিটি শুকনা ফল। তবে এগুলো অত্যন্ত আঠালো। ফলে খাওয়ার পরও দাঁতে লেগে থাকে চিনি ও অ্যাসিডের ঘন আস্তর। এই আস্তরণ থেকে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। সৃষ্টি হয় মুখগহ্বরের বিভিন্ন সমস্যা।

ভিনিগার:
ভিনিগারযুক্ত খাবার বেশি খেলে দাঁতের এনামেলের পরত দ্রুত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। সালাদে ভিনিগার বেশি প্রিয় হলে সঙ্গে লেটুস পাতা যোগ করতে হবে, যাতে দাঁতের ক্ষয় কম হয়।

বরফ: বরফ চিবিয়ে খাওয়া মুখের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ। বরফ আর দাঁতের এনামেল দুটোই তৈরি হয় স্ফটিকের সমন্বয়ে, তাই দুই স্ফটিককে একে অপরের বিপরীতে ঘষলে দুটিই ক্ষয় হতে থাকে দ্রুত।

ফ্লেইভারযুক্ত পানীয়:
দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা জরুরি। তবে তা দাঁত ক্ষয় করে নয়। তাই ফ্লেইভারযুক্ত পানীয় কম পান করাই ভালো। কারণ, এতে থাকে সিট্রিক অ্যাসিড, যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। আর দাঁতের এই রক্ষাকবচ ক্ষয় হয়ে গেলে দাঁত নষ্ট হয়ে যায় খুব সহজেই। এছাড়া উদ্দীপক পানীয় বা ‘এনার্জি ড্রিংকস’ও দাঁতের জন্য ভালো নয়। সাধারণ পানিই সবচাইতে নিরাপদ উপায়।

উপরের পরামর্শগুলো কোনো অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। তাই দাঁত ও মুখের যেকোনো সমস্যায় দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন