ভারতের সারাফ ফার্নিচারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রঘুনন্দন সারাফ এবং আরেক আসবাব বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বোনিতো ডিজিইন্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির এ এম জানিয়েছে বর্ষা মৌসুমে আসবাব রক্ষণাবেক্ষণের পন্থা।
* আলো-বাতাসের সুযোগ দিতে হবে। তাই আসবাবে যাতে শুকনা বাতাস লাগে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
* আসবাবের ড্রয়ার আর দরজা ব্যবহার বাড়াতে হবে।
* আসবাবের উপর অতিরিক্ত গরম কিছু সরাসরি রাখা যাবে না।
* নড়াচড়া করানো যায় এমন আসবাবগুলো মাঝেমধ্যে সামা্ন্য স্থান পরিবর্তন করলে ভালো হবে। সোফার কুশন সবসময় শুকনা রাখার চেষ্টা করতে হবে। কাঠের আসবাবে মোমের প্রলেপ, বার্নিশ এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক আস্তর দিতে হবে।
* আসবাবের পায়াতে রবার কিংবা পলিমারের বুশ ব্যবহার করতে হবে, যাতে পায়াতে আর্দ্রতা না জমে।
* এলাকায় যদি বৃষ্টির মাত্রা বেশি হয়, তবে ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা কমানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এয়ারকন্ডিশনার বা অন্যান্য ‘ময়েশ্চার কন্টোল’ যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
* আসবাবের বিভিন্ন ফাঁকা স্থানে কিংবা ফাটল ধরা জায়গাগুলোকে পুডিং দিয়ে ভরাট করিয়ে নিতে পারেন বর্ষার আগেই। অন্যথায় এই জায়গাগুলোতে পোকামাকড় বাসা বাঁধতে পারে।
* আসবাবের আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে থাকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেয়ালে বসানো কিংবা দেয়ালের খুব কাছে থাকে এমন আসবাবের ক্ষেত্রে ওই দেয়ালগুলো যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসবাবের পেছনের দেয়াল স্যাঁতস্যাঁতে কি না তা খেয়াল রাখা কিছুটা দুঃসাধ্য হতে পারে, তবে আসবাব বাঁচাতে চাইলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন