গবেষণায় দেখা গেছে, সবসময় মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
Published : 23 Jun 2018, 04:23 PM
মানসিক চাপ এবং চক্ষুরোগের মধ্যে সম্পর্কবিষয়ক শতাধিক প্রকাশিত গবেষণা ও ‘ক্লিনিকাল রিপোর্ট’য়ের ভিত্তিতে করা হয় এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘ইপিএমএ জার্নাল’য়ে।
প্রধান গবেষক, জার্মানির ম্যাগ্ডবার্গ’য়ে অবস্থিত ‘অটো ভন গিউরিক ইউনিভার্সিটি’র বার্নার্ড সেইবল বলেন, “ক্রমাগত মানসিক চাপ এবং উচ্চমাত্রায় ‘কর্টিসল’ হরমোনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চোখ ও মস্তিষ্কের উপর। যার কারণ হল ‘অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম (সিমপ্যাথেটিক) ইমব্যালান্স’ এবং ‘ভা্স্কুলার ডিরেগুলেইশন’।
গবেষকরা আরও জানতে পারেন, প্রতিনিয়ত মানসিক চাপে থাকার আরও কিছু সম্ভাব্য ফলাফল হল অতিরিক্ত ‘ইন্ট্রকুলার প্রেশার’, ‘এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশন (ফেলমার সিন্ড্রোম)’, এবং প্রদাহ। এই গবেষণা চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং মানসিক চাপ কমানোর চিকিৎসা ও মানসিক সহযোগীতা দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এতে মানসিক চাপ কমার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
“এছাড়াও ‘ব্রেইন সিমুলেশন’, ‘রিল্যাক্সেশন রেসপনস’, ‘ভিশন রেস্টোরেইশন’, অস্বস্তি নিয়ন্ত্রন এবং সামাজিক সহযোগিতা মানুষের মানসিক চাপ কমায়।” বলেন গবেষকরা।
তারা আরও বলেন, “এই পদ্ধতি বা থেরাপিগুলো চোখে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, ফলে হারানো দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হয়। হাসাপাতালে চোখের চিকিৎসায় এই থেরাপিগুলো কার্যকর হতে পারে।”
চোখের গতানুগতিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমানো এবং বিশ্রামের বিভিন্ন উপায় যেমন–– ধ্যান, ‘অটোজেনিক ট্রেইনিং’, ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিং’, ‘সাইকোথেরাপি’ ইত্যাদির শেখার পরামর্শও দেওয়া উচিত। এগুলো চিকিৎসা নয়, হবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন