তাই এই বয়সে নিজেকে তৈরি করা আর বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের ‘রাজিভ গান্ধি ক্যান্সার ইন্সটিটিউট’য়ের নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ জয় গোপাল শার্মা, ‘লাইফলাইন ল্যাবরেটরিজ’য়ের প্যাথোলজিস্ট ভার্শা দালাল এবং ‘প্ল্যানেট হার্বস লাইফসায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড’য়ের পরিচালক সারগাম ধাওয়ান জানিয়েছেন চল্লিশ বছর বয়সে সুস্থ থাকার উপায়।
হাঁটাহাঁটি: শুধু শরীরচর্চা নয়, নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর একটি অনন্য মাধ্যম হাঁটাহাঁটি। চল্লিশের পর হাতে অবসর সময় থাকবে বেশি। কারণ এতদিনে পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে স্থির অবস্থায় পৌঁছে গেছেন। তাই অবসরে সময়ে ৪৫ মিনিট হাঁটালে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ক্যালরি ঝরবে, মন মেজাজ ভালো থাকবে, দুরে থাকবে রোগ। তবে হাঁটতে হবে দ্রুত।
বংশগত রোগ: বংশের রোগ সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সাবধান হতে হবে। তিন পুরুষের রোগবালাইয়ের তথ্য যাচাই করা নিরাপদ। সেটা বের করতে পারলে আপনার চিকিৎসকের জন্যও অনেক উপকারী হবে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধের সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে।
পরীক্ষা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর অভ্যাস গড়তে হবে। আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য, লিঙ্গ, বংশের প্রভাব, ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে কোন পরীক্ষাগুলো করতে হবে।
খাদ্যাভ্যাস: এই বয়সে খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর আঁশ থাকা চাই। এতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে, মলত্যাগ নিয়মিত হবে, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় থাকবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কার্ডিও ব্যায়াম: চল্লিশে পৌঁছানোর পর সপ্তাহ তিন দিন কমপক্ষে আধা ঘণ্টা কার্ডিও ব্যায়াম করতে হবে। তবে যেকোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সেই ব্যায়াম আপনার জন্য নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত হতে হবে।
পরিমাপ নিয়ন্ত্রণ: রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ‘ট্রাইগ্লিসেরাইডস’য়ের মাত্রার দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কোমরের মাপ, বডি ম্যাস ইনডেক্স এবং ওজন নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই পরিমাপে গড়মিল দেখা দিলে তা হতে পারে মারাত্বক কোনো রোগের লক্ষণ।
লবণে পরিমাণ: লবণ খাওয়া কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানি ধরে রাখার মাধ্যমে রক্তচাপ বাড়ায়। ফলে হৃদযন্ত্র, বৃক্ক, ধমনি এবং মস্তিষ্কের উপর বাড়তি চাপ পড়ে।
আরও পড়ুন