আর এই বিষয়ে জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ ডানা জেমস।
তার মতে, “খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চা ঠিক থাকলেও, ঘুম যদি পর্যাপ্ত না হয়, হরমোন যদি ঠিক মতো কাজ না করে, যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন কিংবা অন্ত্রে যদি কোনো প্র্রদাহ থাকে, তাহলে ওজন কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।”
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডানা আরও বলেন, “স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, হরমোন, ঘুম, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম, প্রদাহ, ওষুধ, মানসিক অবস্থা, জিন সবকিছু মিলে শরীরের চর্বির মাত্রায় পরিবর্তন আসে।”
এই পুষ্টিবিদ বিশ্বাস করেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কোনো ভাবে কমিয়ে আনলেও তা দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব হয় না। কারণ দেহের অন্যান্য সমস্যা থাকতে পারে। একারণে একবার কমানোর পরও ওজন বেড়ে যেতে পারে।
একাধিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, ঘুমের ঘাটতি থাকলে মানুষের ওজন বাড়ে। যাদের অন্ত্রের জটিলতা আছে তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কারণ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি যে ওজন বাড়ায় সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাই ডানা পরামর্শ দেন, শুধু খাওয়া নিয়ন্ত্রণ আর শরীরচর্চার উপর ভরসা না করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে মনযোগী হতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন