অনেকেই মনে করেন বয়স কম। হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের মতো বিষয়গুলো পরে ভাবলেও হবে। অনেকের মাথাতেই আসে না এসব বিষয়। তবে বয়স্ক অবস্থায় যে রোগ হয় তা তরুণ বয়সেও যে আক্রমণ করবে না, সেরকম কোনো নিয়ম নেই।
তাই আগেভাগে সাবধান থাকতে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে কয়েকটি স্বাস্থ্যপরীক্ষার নাম দেওয়া হল।
রক্তচাপ: গরুর মাংস খেয়ে হাঁসফাঁস লাগলে অবহেলায় উড়িয়ে দেওয়া চলবে না। কারণ এই উচ্চ রক্তচাপ থেকেই স্ট্রোক, যকৃতের সমস্যা, হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি প্রাণঘাতী রোগের দিকে এগিয়ে যায় শরীর। রক্তচাপ অস্বাভাবিক হলে বয়স যাই হোক না কেনো প্রতি মাসে রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে হবে। আর বয়স বিশ হলেই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করানোর অভ্যাস করতে হবে।
কোলেস্টেরল: উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বয়স বিশ হওয়ার পরেই প্রথমে কোলেস্টেরল পরীক্ষাটা করিয়ে ফেলা উচিত। আর পরীক্ষায় ‘এলডিএল’ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি ১৩০ এর বেশি হয় তবে প্রতি বছর পরীক্ষা করাতে হবে। স্বাভাবিক থাকলে প্রতি তিন বছরে একবার।
এসটিডি স্ক্রিনিং: এই বয়সে যদি যৌনমিলনে আবদ্ধ হয়ে থাকেন তবে যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে ছড়ায় এমন রোগ যেমন ‘ক্লাইমেডিয়া’, ‘গনোরিয়া’ ইত্যাদির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
স্তন পরীক্ষা: বিশ বা তদুর্ধ বয়সের প্রতিটি নারীকে প্রতি তিন বছরে একবার হাসপাতালে গিয়ে স্তন পরীক্ষা করানো পরামর্শ দেয় আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। পরীক্ষা করালেই যে ক্যান্সার হবে না তা নয়, তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সব রোগেরই চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পাপ স্মিয়ার: এই পরীক্ষার মাধ্যমে অস্বাভাবিক কোষ নির্ণয় করা যায়। ‘সার্ভিক্স’ বা গর্ভাশয়ের সংকীর্ণ অংশে প্রদাহ ও সংক্রমণ থেকে হতে পারে ‘সার্ভিকাল ক্যান্সার’। নারীদের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ। দ্য আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি’র মতে, ২১ বছর বয়সের পরেই প্রতিটি নারীর বছরে একবার এই পরীক্ষা করানো উচিত। ২১ বছর বয়সের আগে ‘সার্ভিকাল ক্যান্সার’ হওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও কম।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন