ঘুমের ঘাটতি, পুষ্টির অভাব ও অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে চোখের নিচে কালচেভাব দেখা দেয়। ভিটামিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার এই সমস্যা দূর করতে পারে।
Published : 13 Jun 2018, 04:28 PM
শুধু বাহ্যিকভাবে নয় সুন্দর ত্বকের জন্য দেহের ভেতর থেকেও পুষ্টি প্রয়োজন। তাই ত্বকের যত্নে নানান পন্থা অবলম্বন করে কোনো লাভ না হলে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এরকম কিছু পুষ্টিকর খাবারের নাম এখানে দেওয়া হল যা চোখের কালচেভাব দূর করতে সাহায্য করে।
টমেটো: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চোখের চারপাশের ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নির্জীবভাব দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে এবং ‘রেডিকেল’ থেকে মুক্তি দিতে পারে। টমেটো ছাড়াও কমলা, পেঁপে ও ব্রকলি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যা ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে।
শসা: চোখের নিচে কালচেভাব দূর করতে শসার ব্যবহার সর্বোজন স্বীকৃত। শুধু ব্যবহার নয় শসা খেয়েও এই সমস্যা দূর করা যায়। এটা কোলাজেন বা ত্বকের কোষকলা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং ত্বকের রংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার: এটা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্টকারী এনজাইমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ভিটামিন ই। তিল, হ্যাজলনাটস, কাঠবাদাম ও সুর্যমুখীর বীজ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। এই ভিটামিনের চাহিদা পূরণে খাদ্য তালিকায় এসব খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
সবুজ শাক-সবজি: ব্রকলি, পালং ও লতাজাতীয় খাবার ভিটামিন কে সমৃদ্ধ; যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে এর মান উন্নত করে। নির্জীব ত্বকের অন্যতম কারণ হতে পারে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ কম। ফলে ত্বকে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় ও ‘ডার্ক সার্কেল’ তৈরি করে।
ছবির মডেল: আরিয়ানা জামান এলমা। মেইকআপ: আরিফ। ফটোগ্রাফার: তানভির খান। ছবি সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন