ব্যায়াম পরবর্তী ব্যথা কমাতে

শরীরচর্চা করা শুরু করলে বা বেশি মাত্রায় ব্যায়ামের ফলে দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হবেই। সম্পূর্ণভাবে নিরাময় না করা গেলেও এই ব্যথা কমানোর রয়েছে উপায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2018, 08:54 AM
Updated : 13 June 2018, 08:54 AM

ব্যায়াম পরবর্তী ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় জানিয়েছেন ভারতের ‘এনিটাইম ফিটনেস’য়ের প্রশিক্ষক বাদল উপ্রেতি।

* পেশিতে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে প্রদাহ, ব্যথা কমায় চেরি ফল। কমায় ব্যায়াম পরবর্তী পেশির ব্যথা। তাই শরীরচর্চার পর এই ফল খেতে পারেন।

* ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ব্যায়ামের পরেই দৈনন্দিন কাজে লেগে যান, যা উচিত নয়। এসময় শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে, যাতে পুষ্টি উপাদান ব্যবহার করে শরীর সারিয়ে তোলার সুযোগ পায়।

* ব্যায়ামের পর দুএক ঘণ্টার ঘুম অত্যন্ত উপকারী। কারণ এতে শরীর ঘুমের গভীর এবং ক্ষয়পূরণকারী পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। ফলে শরীর দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা পায়।

* প্রোটিন শেইক কিংবা ‘বার’ খাওয়া ভালো। তবে পেশির ব্যথা সারানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন খাওয়া সহজ কথা নয়। তাই খাদ্যাভ্যাসে চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, টকদই, কলা ইত্যাদি যোগ করতে হবে।

* ব্যায়ামের পর গোসল করলে পেশি, হাড়ের জোড়, রগ ইত্যাদির প্রদাহ কমবে। পেশির বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকেও বাঁচতে পারবেন।

* ভারী ব্যায়ামের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। পেশি কোষের পানি প্রয়োজন। তাই পেশির ক্ষয়পুরণের সময় পানিশূন্যতা সবচাইতে বড় শত্রু। ব্যায়ামের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাবের রং হতে পারে স্বচ্ছ কিংবা মৃদু হলুদ। গাঢ় হলুদ হলে বুঝতে হবে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয়নি।

ভারতের ‘আকাশ হেলথকেয়ার সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অস্থিরোগের শল্যচিকিৎসক আশিশ চৌধুরী যোগ করেছেন আরও কিছু পরামর্শ।

* বেশিরভাগ মানুষ ভারী ব্যায়ামের আগে শারীরিক প্রস্তুতি পর্ব বা ‘ওয়ার্মআপ সেশন’ বাদ দিয়ে যান। বুঝতেই পারেন না কত বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এই প্রস্তুতি পর্বে ভারী ওজন তোলার জন্য পেশিকে প্রস্তুত করা হয় এবং ব্যায়াম পরবর্তী ব্যথা কমাতে তা সহায়ক। একইভাবে ভারী ব্যায়ামের পর হালকা সমাপনী ব্যায়াম বা পেশি টান টান করাও উপকারী।

* ব্যথায় কাতর পেশি নিয়ে ব্যায়াম করা কষ্টকর এবং মনে হতে পারে তা পণ্ডশ্রম। তবে আসলে তা আপনার শক্ত থাকা পেশিগুলো নরম করে এবং যে ‘ল্যাকটিক অ্যাসিড’য়ের কারণে ব্যথা হচ্ছে তা বের করতে সহায়তা করে। এসময় ব্যায়াম ভারী হওয়ার প্রয়োজন নেই, সামান্য হাঁটা বা দৌড়ানোই যথেষ্ট।

* ব্যায়ামের পর একজন বন্ধু কিংবা প্রশিক্ষকের কাছ থেকে ২০ মিনিটের মালিশ পেলে শক্ত হয়ে থাকা পেশিগুলো নরম হবে, শরীরের তরল প্রবাহ সহজ হবে। ‘মাসাজ স্টিক’ কিংবা ‘ফোম রোলার’য়ের সাহায্যে নিজেই নিজেকে মালিশ দিতে পারেন। ব্যথায় কাতর অংশগুলোতে ১০ মিনিট বরফ দিলেও উপকার পাওয়া যায়।

ছবি সৌজন্যে: ই স্টুডিও।

আরও পড়ুন