জিন্স কিনতে যা জানা দরকার

সঙ্গীকে জিন্স প্যান্ট কিনে দিতে চাচ্ছেন অথচ রং বা ছাঁট সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তাই জেনে নিন ডেনিম প্যান্ট কেনার আগে কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখবেন।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2018, 08:33 AM
Updated : 31 May 2018, 08:33 AM

ভারতীয় তৈরিপোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘স্পাইকার লাইফস্টাইল’য়ের নকশা বিভাগের প্রধান অভিষেক যাদভ জানাচ্ছেন জিন্সের প্যান্টের রং আর মাপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

সঠিক মাপ: সব প্যান্টের ক্ষেত্রেই মাপ সঠিক হওয়া জরুরি। মাপ ভুল হলে দেখতে যেমন খারাপ লাগবে, তেমনি পরতেও লাগবে অস্বস্তি। জিন্স প্যান্টের মাপ এবং ফিটিং’য়ের ধরন লেখা থাকবে ভেতরের দিকের ট্যাগে।

স্কিনি ফিট: আঁটসাঁট ফিটিংয়ের প্যাটগুলো হালফ্যাশনে নারী-পুরুষ দুয়ের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। পায়ের নিচের অংশ চাপা হওয়ার কারণে প্যান্টের পা একটু বড় থাকলেও তা হাঁটার সময় সহজে গোড়ালির নিচে চলে যায় না। তবে গরমের দিনে মোটা কাপড়ের স্কিনি জিন্স কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে।

স্লিম ফিট: বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত এই ছাঁট। এই ধরনের জিন্স প্যান্টে যেমন লাগে চৌকশ তেমনি আনে মসৃণ আরামদায়ক ভাব। আরও স্বস্তি যোগায় যদি কাপড়টি হয় স্ট্রেচ। খেলোয়াড়ি এবং মাঝারি গড়নের শরীরে স্লিম ফিট জিন্স মানানসই। এই জিন্স যেমন সহজেই পাওয়া যায় তেমনি যেকোনো পোশাকের সঙ্গে স্টাইলিশ থাকা যায়।

ট্যাপার্ড ফিট: স্কিনি আর স্লিম ফিটের মাঝামাঝি মাপ হল ট্যাপার্ড ফিট। যা স্কিনি থেকে আরেকটু ঢিলে তবে স্লিম থেকে আরেকটু আঁটসাঁট। পায়ের পেশিগুলো সামান্য বোঝা যাবে যা সব ধরনের শরীরের জন্যই প্রযোজ্য। এই ধরনের জিন্সের সঙ্গে সাধারণ একটি শার্ট আর একজোড়া লোফার জুতা বেশ মানানসই।

স্ট্রেইট ফিট: কোমর থেকে পা পর্যন্ত পায়ের মাপ একই থাকে। ডেনিমের ক্ষেত্রে এটা ঐতিহ্যবাহী ছাঁট। অতিরিক্ত ওজনধারী কিংবা পেশিবহুল ব্যায়ামবীরদের জন্য ঢিলেঢালা এই প্যান্টগুলো আদর্শ। কোনো কেমিকল ব্যবহার নয় একেবারে খাঁটি অর্থাৎ ডেনিমের আসল চেহারা থাকবে কাপড়ে। টিশার্ট আর স্নিকার দিয়ে সুন্দর মানিয়ে যাবে। শীত এই ছাঁটের প্যান্টের সঙ্গে ডেনিম জ্যাকেট দেবে ১৯৫০ সালের ক্লাসিকভাব।

জগার ফিট: পায়ের নিচের অংশে ইলাস্টিক কাফ দেওয়া প্যান্টগুলোই জগার্স ফিট। নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পুরো নকশাই জগিংবান্ধব এই প্যান্টের উপরে স্লিপ ফিটের মতোই ঢিলেঢালা যা হাঁটা ও দৌড়ানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক। নিচের ইলাস্টিকের কারণে প্যান্ট গোড়ালির নিচে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

রংয়ের তারতম্য

জিন্স প্যান্টে রংয়ের খেলাটা হয় ধোলাইয়ের মাধ্যমে। একেক ধরনের ধোলাইয়ে প্যান্টে একেক ধরনের রং ও নকশা তৈরি হয়।

স্টোন ওয়াশ: এই ধোলাইতে প্যান্টে ক্ষয়ে যাওয়া পুরানোভাব আনে। প্যান্টের বিভিন্ন অংশে রং হালকা হয়ে যাওয়া নকশাটা এই ধোলাইয়ের সাহায্যে আনা হয়।

ভিনটেইজ ওয়াশ: এই ধোলাইয়ের মাধ্যমে প্যান্টে আসে পুরানো দিনের ফ্যাশনের আবহ। আগাগোড়া পুরো প্যান্টেই একই রং নিয়ে আসে এই ধোলাই, আর এটি পরে আরামও বেশি।

আইস ওয়াশ: কোনো কেবল সংযোগ ছাড়া টেলিভিশনের ঝিরিঝিরি পর্দার মতো প্যান্টে থাকবে ছিটছিট আবহ। যা কিনা ডেনিমের ‘সামার ক্লাসিক’ হিসেবে পরিচিত।

স্টাইলিস্ট ইশা ভানসালি জানিয়েছেন আরও কিছু পরামর্শ।

স্কিনি জিন্স: একেবারে পাতলা আবার বিশালদেহীদের জন্য স্কিনি জিন্স বেমানান। ছিমছাম গড়নের পুরুষদের জন্য এটি আদর্শ। সঙ্গে পরতে পারেন ঢিলেঢালা টিশার্ট, শার্ট কিংবা ব্লেজার। পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরোপুরি আঁটসাঁট পোশাক পরা উচিত নয়।

ক্লাসিক জিন্স: এই ছাঁটের জিন্সে সবাইকে মানায়। তবে ছিমছাম গড়নের ছেলেদের বেশি ভালো লাগে। একেবারে স্ট্রেইট ফিটিংয়ের আলখাল্লা জিন্স এযুগে আর মানায় না।