বয়সের সঙ্গে হৃদযন্ত্র দুর্বল হতে থাকে। এর মধ্যকার রক্তনালীগুলো শক্ত হতে থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির আশঙ্কা বাড়ে। তাই সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ত্রিশ মিনিট ব্যায়াম করার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়িত হবে, বার্ধক্য আসবে দেরিতে।
ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস’য়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চা বিভিন্ন আকারের রক্তনালীর উপর ভিন্ন প্রভাব ফেলে। সপ্তাহে দু্তিন দিন আধা ঘণ্টা শরীরচর্চা মাঝারি আকারের রক্তনালী শক্ত হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে।
তবে বড় রক্তনালীর সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন শরীরচর্চার প্রয়োজন।
গবেষণার অন্যতম গবেষক, ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের বেনজামিন লেভিন বলেন, “এই গবেষণা হৃদযন্ত্রকে দীর্ঘদিন স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হারে শরীরচর্চার রুটিন তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এমনকি ধুকতে থাকা বয়স্ক হৃদযন্ত্রেও কিছুটা প্রাণ ফিরিয়ে আনবে।”
এই গবেষণার জন্য ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ১০২ জনের সারাজীবনের ধারাবাহিক শরীরচর্চার ইতিহাস পরীক্ষা করা হয়। ব্যায়ামের মাত্রা অনুযায়ী চারটি দলে ভাগ করা হয় তাদের।
সপ্তাহে দুদিন ব্যায়াম করতেন যারা তারা ‘সেডেনটারি’, দুই থেকে তিন দিন ‘ক্যাজুয়াল এক্সারসাইজারস’, চার থেকে পাঁচ দিন হলে ‘কমিটেড এক্সাসাইজারস’ এবং ছয় থেকে সাত দিন হলে ‘মাস্টার অ্যাথলেট’।
‘ক্যাজুয়াল এক্সারসাইজার’দের মাঝারী আকারের রক্তনালীগুলো স্বাস্থ্যবান ছিল। ফলে হৃদযন্ত্র একং ঘাড়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ হয়েছে।
‘কমিটেড এক্সারসাইজার’দের ক্ষেত্রে একই প্রভাব আরও বেশি মাত্রায় চোখে পড়ে। তাদের বড় রক্তনালীগুলোও স্বাস্থ্যবান থাকায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত বুক ও পেটেও পৌঁছেছে।
বার্ধক্যের প্রভাব থেকে বাঁচতে বড় রক্তনালীগুলোর চাই ঘন ঘন ব্যায়াম।
লেভিন বলেন, “সঠিক মাত্রায় শরীরচর্চার মাধ্যমে হৃদযন্ত্র ও রক্তনালী বুড়িয়ে যাওয়ার প্রভাবটা উল্টো করা যায় কি না তা বুঝতে সাহায্য করবে গবেষণাটি।”
আরও পড়ুন