দেশি পোশাকের সমারোহের পাশাপাশি নীল রংয়ের বিশেষায়িত পোশাক লেবেল ‘আর্ট অব ব্লু’ এবং পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক লেবেল ‘মার্জিন’ নিয়ে পথ চলবে অঞ্জন’স।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বলেন, “দেশীয় ফ্যাশন, ট্র্যাডিশন এবং তাঁতকে জনপ্রিয় করতে অঞ্জন’স কাজ করছে দীর্ঘদিন। ডিজাইন নিয়েও প্রতিনিয়ত করা হয়েছে নানা নিরীক্ষাধর্মী কাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশন সচেতন ক্রেতাদের পরিবর্তিত চাহিদাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। একারণেই এথনিক ও ট্রেডিশনাল ফিউশন নিয়ে নীল রংয়ের বিশেষায়িত পোশাক লেবেল ‘আর্ট অব ব্লু’ এবং পাশ্চাত্য ঘরনার পোশাক লেবেল ‘মারজিন’ নামে দুটি নতুন ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু হচ্ছে। নান্দনিক রুচি এবং সর্বশেষ ট্রেন্ড নিয়ে কাজ করবে নতুন এই ব্র্যান্ড দুটি।”
শুরুতেই ডিজাইনারদের নতুন ঈদ সংগ্রহ নিয়ে অঞ্জন’সের পোশাকে শুরু হয় র্যাম্প। পোশাক বৈচিত্র্যতা এবং ডিজাইন ভিন্নতায় শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ-পাঞ্জাবি এবং শার্ট-টপস নিয়ে তিনটি পৃথক কিউতে অংশ নেন আট জন নারী এবং ছয় জন পুরুষ মডেল।
এবারের ঈদ সংগ্রহে জামদানি, ইসলামিক, জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিফগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে ফ্যাশন শোর প্রতিটি পোশাকে। গলা, হাতা এবং পোশাকের ধাঁচে নিরীক্ষাধর্মী কাজগুলো এই সময়ের ট্রেন্ড অনুসরণেই করা হয়েছে।
ডিজাইনারদের নিজস্ব উদ্ভাবনীবোধ এবং ফ্যাশন চিন্তা সমন্বিত হয়ে তারুণ্য নির্ভর পোশাকের ক্যানভাস হচ্ছে ‘মার্জিন’। নতুন যাত্রা শুরু হওয়া এই ব্র্যান্ডের দুটি পৃথক কিউতে র্যাম্পের প্রথমটিতে প্রদর্শিত হয় মেয়েদের কামিজ, ছেলেদের ক্যাজুয়াল শার্ট ও কটন প্যান্ট। পাশ্চাত্য কাটের সঙ্গে দেশীয় ফিউশন নিয়ে মেয়েদের টপস, পালাজ্জো, জিন্স এবং ছেলেদের টি শার্ট ও ডিজাইন বৈচিত্র্যের স্টেচ ফেব্রিকে তৈরি জিন্স নিয়ে হয় আরও একটি ফ্যাশন কিউ।
নীল কেন্দ্রিক বিষয় বিন্যাসে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্য যুগপৎ ধরা দেয় প্রতিটি পোশাকের ক্যানভাসে। পোশাকে নীল যেন বেদনার নয়; ভালোবাসার রং হয়েই ফুটে উঠেছিল মডেলদের বসনে। ইন্ডিগো ডাই, ব্লক প্রিন্ট, জিওমেট্রিক মোটিফে শাড়ি- পাঞ্জাবির ফিউশন এবং সালোয়ার-কামিজ ও শার্ট নিয়ে দুটি পৃথক কিউ হয়। নীল থিমে উৎসবের এসব পোশাক নিয়ে হাজির হয় নতুন ব্র্যান্ড ‘আর্ট অব ব্লু’।
ফ্যাশন শোটি শেষ হয় ফাইন জুয়েলারি, ফ্যাশন জুয়েলারি, মেটাল জুয়েলারি, কার্ভিংসহ নানা কারিশমায় তৈরি গয়না নিয়ে। হাজির হোন অঞ্জন’স’য়ের প্রধান নকশাকর এবং ‘কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেস’য়ের প্রধান নির্বাহী লায়লা খায়ের কনক। ঐতিহ্যময় উপস্থাপনায় সিলভার এবং গোল্ড প্লেটেট জুয়েলারি নিয়ে ১২ জন মডেল পৃথক দুটি ফ্যাশন কিউতে অংশ নেন। রুপা, কপারসহ বিভিন্ন মেটাল, স্টোন ও পার্ল দিয়ে দৃষ্টি নন্দন গয়নাগুলো ডিজাইন করেছেন কনক নিজেই।
ঈদকে ঘিরে আয়োজিত এই আড়ম্ববর পূর্ণ ফ্যাশন শোতে সর্বমোট কিউ হয়েছে ৯টি। কোরিওগ্রাফি করেছেন আজরা মাহমুদ। মেকওভারের দায়িত্বে ছিলেন পারসোনা।