ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সারি’র করা এক গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
‘রুমাটোলজি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা খাদ্যাভ্যাস ও নিজেই বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন।
আগের ৬৮টি একই বিষয়ক গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বল্পমাত্রায় (একটি অথবা আধা ক্যাপসুল) মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট বাতের রোগীদের ব্যথা কমাবে এবং উন্নত হবে তাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও।
গবেষণাটি বলে, মাছের তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হাড়ের জোড়ের প্রদাহ সারাতে এবং ব্যথা কমাতে কার্যকর।
খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন কে-যুক্ত খাবার যেমন কেইল, পালংশাক, পার্সলে ইত্যাদি থাকলে সেগুলোও বাতের রোগীদের অনেক উপকারে আসে।
ভিটামিন কে ডিপেন্ডেন্ট প্রোটিন বা ভিকেডি’র জন্য প্রয়োজন ভিটামিন কে, যা থাকে হাড় ও কশেরুকায়।
অপর্যাপ্ত ভিটামিনের কারণে প্রোটিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাড়ের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ। বাড়ে বাত হওয়ার আশঙ্কা।
গবেষণার সহ-লেখক এবং ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সারি’র অধ্যাপক মার্গারেট রেম্যান বলেন, “স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চার গুরুত্বকে কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। এতে শুধু আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি এই গবেষণা থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তা বাতের যন্ত্রণা থেকেও দূরে রাখে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের খাদ্যাভ্যাসই আমাদের স্বাস্থ্যের প্রধান প্রভাবক। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটানোর মাধ্যমেই শরীরের সুষ্ঠু সঞ্চালন নিশ্চিত করা সম্ভব।”
গবেষকরা আরও বলেন, “স্থূলকায় বাতের রোগীদের ক্ষেত্রে ওজন কমানো এবং নড়াচড়াভিত্তিক ব্যায়াম রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।”
অতিরিক্ত ওজন হাড়ের জোড়ের উপর বাড়তি চাপ ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন মৃদু মাত্রার প্রদাহের জন্য দায়ী। ফলে ভবিষ্যতে বাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
তাই সীমিত ক্যালরির খাদ্যাভ্যাস, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা বাত নিয়ন্ত্রণে রাখার আদর্শ উপায়।
গবেষণাটি আরও জানায়, পাতলা গড়নের বাতের রোগীদের ক্ষেত্রে সীমিত ক্যালরির খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কোনো উপকারী দিক নেই।
ছবি: নিজস্ব ও রয়টার্স।
আরও পড়ুন