সন্তানের মগজাস্ত্র ধারাল করতে চাইলে

যদি সন্তানের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে চান তবে তার সঙ্গে কথা বলুন।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2018, 08:49 AM
Updated : 7 May 2018, 08:49 AM

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া’র করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুর ইতিবাচক কথোপকথন তার মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। ফলে শিশু রক্ষা পেতে পারে বেশি খাওয়া এবং মদ কিংবা অন্যান্য মাদকপণ্যে আসক্ত হওয়ার হাত থেকে।

১৪ বছর ধরে চলা এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘বায়োলজিকাল সাইকোলজি’ নামক জার্নালে। যেখানে উল্লেখ করা হয়, বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের নিয়মিত ইতিবাচক আলাপচারিতা সন্তানের স্বাস্থ্যগত ও মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।

গবেষণার সহ-লেখক, ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া‘র অ্যালেন বার্টন বলেন, “প্রতিরোধ এবং হস্তক্ষেপভিত্তিক লালনপালনের মা্ধ্যমে শিশুর ভবিষ্যত এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানোর গুরুত্বের উপর জোর দেয় এই গবেষণা।”

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মফস্বল এলাকার ১১ বছর বয়সি সন্তান এমন কয়েকটি পরিবারকে নিয়ে এই দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা শুরু করেন গবেষকরা। ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পরিবারগুলো তাদের সন্তানের সঙ্গে কথোপকথন এবং তর্কবিতর্কের মাত্রা জানান গবেষকদের।

এই পরিবারের সন্তানগুলোর বয়স যখন পঁচিশে পৌঁছে তখন গবেষণায় যোগ করা আরও ১শ’ জন অংশগ্রহণকারী। সবার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয় ‘ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমাজিং (এফএমআরআই)’য়ের সাহায্যে।

মস্তিষ্কের বিশেষ এক নেটওয়ার্ক ‘অ্যান্টেরিওর স্যালিয়েন্স নেটওয়ার্ক (এএসএন)’ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার জন্যই গবেষণায় ‘এফএমআরআই’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মদ্যপানে এবং আবেগতাড়িত হয়ে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গবেষকরা বলেন, “বয়ঃসন্ধিতে বা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের কথোপকথন যাদের বেশি ছিল, তাদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সে তাদের মস্তিষ্কে ‘এএসএন’ সংযোগ বেশি দেখা যায়। ‘এএসএন’ সংযোগ বেশি থাকা মানেই হল অতিরিক্ত মদ্যপানে এবং আবেগতাড়িত হয়ে অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কম হবে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন