যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের বেথ ইসরেয়াল ডিকোনেস মেডিকাল সেন্টারের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা উচিত।
Published : 06 May 2018, 02:34 PM
কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও’র প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় মেগাসিটিগুলোর মধ্যে দূষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকদিন ধরে যানবাহনের দূষণের সংস্পর্শে থাকলে ছোটবেলা থেকেই হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
‘জার্নাল অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিকাল ইমিউনোলজি’তে প্রকাশিত হওয়া গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, প্রধান সড়কে কাছাকাছি থাকার সঙ্গে সকল বয়সি শিশুর হাঁপানি হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণার প্রধান লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের বেথ ইসরেয়াল ডিকোনেস মেডিকাল সেন্টারের ম্যারি রাইস বলেন, “মূল কিংবা ব্যস্ত সড়কের ১শ’ মিটারের মধ্যে থাকা সাত থেকে ১০ বছর বয়সি যেসব শিশুদের হাঁপানির উপসর্গ রয়েছে কিংবা যারা এই রোগের ওষুধ সেবন করছে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যারা ৪শ’ মিটার দূরে থাকে তাদের তুলনায় বেড়ে যায় প্রায় তিনগুন।”
এই গবেষণার জন্য ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বস্টনের ১ হাজার ৫শ’ ২২ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
কাছাকাছি মূল সড়ক থেকে তাদের বাসস্থানের দূরত্ব মাপতে ব্যবহার করা হয় ‘ম্যাপিং’ প্রযুক্তি।
এই বাছাইকৃত শিশুদের বাসস্থানের ঠিকানার উপর ভিত্তি করে ওই অঞ্চলের পরিবেশগত অবস্থাও পর্যবেক্ষণের আওতার আনা হয়। এ থেকে জানা যায় তারা প্রতিদিন কতটুকু পরিবেশ দূষণের সংস্পর্শে আসে।
যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং দূষণের অন্যান্য উৎসে ব্যবহৃত জ্বালানির দহন থেকে যে ক্ষুদ্র ‘পিএম’ বা ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার’ তৈরি হয় সেটাই পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। এদের মধ্যে একটি অন্যতম উপাদান হল ‘ব্ল্যাক কার্বন’।
গবেষকরা বলেন, “যানজটের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশ দূষণকারী উপাদানই শৈশবে হাঁপানির পেছনে বিশেষভাবে দায়ী।”
গবেষকরা আরও বলেন, “জন্মের পর থেকে এই দূষিত উপাদানের সংস্পর্শে আসার কারণে তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সেই হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তবে সাত থেকে ১০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর এই ঝুঁকি শুধু মেয়ে শিশুর জন্যই প্রকট।”
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন