রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মুখের তেল কমানোর কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল।
হালকা ফেইস ওয়াশ: তেল পরিষ্কারক ফেইস ওয়াশ দিয়ে দিনে দুবার মুখ পরিষ্কার করুন। এর মাধ্যমে ত্বকের তেল উৎপাদন কমিয়ে লোমকূপে ময়লা জমা কমানো যায়। ভারী পরিষ্কারক মুখের তেল দূর করার পাশাপাশি মুখের ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুখে আরও তেল উৎপাদন হয়।
মাইসেলার ওয়াটার: এই পানি ত্বকে টোনারের মতো কাজ করে। অপ্রয়োজনীয় সিবাম (ত্বকের তৈলাক্ত তরল) কমাতে সাহায্য করে। তবে ত্বক যেন খুব বেশি শুষ্ক হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
‘মাইসেলার ক্লিঞ্জিং ওয়াটার’ যে কোনো ভালো প্রসাধনী বিক্রেতার কাছ পাওয়া যায়।
ব্লটিং শিট: ব্লটিং শিটে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড থাকে যা তেল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুয়েকটি করে শিট ব্যবহার করুন। ত্বক পরিচর্যার জন্য ব্লটিং শিট প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব।
মাস্ক: তেল কমাতে ও ময়লা দূর করতে মাটির মাস্ক সবচেয়ে ভালো কাজ করে। আর্দ্রতা রক্ষা করতে এরসঙ্গে মধু ও শিয়া বাটার যোগ করতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চিনি ও চর্বি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ফেইশল করা: যদি মাঝে মধ্যেই স্যালনে ফেইশলের জন্য যেয়ে থাকেন তাহলে ‘ভাপ নেওয়া‘ থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটা আর্দ্রতা বন্ধ করে ও ত্বক আবার তৈলাক্ত করে ফেলে।
চিকিৎসকের পরামর্শ: ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হলে এবং সাধারণ পদ্ধতিগুলো কাজে না আসলে চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন