ইংরেজিতে ‘কারোম সিডস’ নামের এই মসলা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বেশি পরিচিতি। এটা হজমক্রিয়া ঠিক রাখার পাশাপাশি ওজন কমিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কীভাবে খেলে উপকার পাওয়া যাবে সেসব কৌশল এখানে দেওয়া হল।
জোয়ানের পানি: একটি পাত্রে দুই লিটার পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর এতে এক টেবিল-চামচ মৌরি যোগ করুন ও তিন থেকে চার মিনিট ফুটান। পানির রং সোনালি হয়ে এলে আগুন বন্ধ করে ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। একটি বোতলা সংরক্ষণ করে সারাদিন একটু পর পর পান করুন।
এই পানি কেবল হজমে সাহায্য করে না বরং বিপাক বাড়াতেও সাহায্য করে। এর উচ্চ বিপাকীয় শক্তি বাড়তি ক্যালরি খরচ করে এবং দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জোয়ান ও মধু: খনিজ উপাদান, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ মধু বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া মধু কিছু বিশেষ হরমোনকে সক্রিয় করে ক্ষুধা কমায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ক্যালরি কম গ্রহণে সাহায্য করে। জোয়ান ও মধু একসঙ্গে খাওয়া হলে তা শরীরের বাড়তি ওজন মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই কমাতে সহায়তা করতে পারে।
এই পানীয় তৈরি করতে ২৫ গ্রাম মৌরি ২৫০ মি.লি পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে এতে এক টেবিল-চামচ মধু মেশান। সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করুন। ভালো ফলাফলের জন্য তিন মাস প্রতিদিন এই পানীয় পান করে যান।
বি.দ্র.- এই পানীয় তৈরিতে উপাদানগুলোর মাপের পরিবর্তন করবেন না, এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে।
কাঁচা জোয়ান: প্রতিদিন সকালে একমুঠ করে খান। নাস্তা ও জোয়ান খাওয়ার মাঝে আধ ঘণ্টা বিরতি রাখুন।
সকালে খালি পেটে খেলে এটা পরিপাক রস নিঃসৃত করে এবং হজমে সাহায্য করে। নিয়মিত এই নিয়ম অনুসরণ করে একমাসে দুই কেজি ওজন কমানো সম্ভব।
মিশ্র মসলার গুঁড়া: এই গুঁড়া তৈরি করতে সমপরিমাণ মৌরি, জোয়ান, কালিজিরা ও দারুচিনি নিয়ে গুঁড়া করুন।
বাতাস রোধক পাত্রে তা সংরক্ষণ করুন। এক গ্লাস পানিতে আধ চা-চামচ গুঁড়া মিশিয়ে দিনে দুবার খাওয়ার মাঝে এটা পান করুন। এই পানীয় কেবল সতেজই রাখে না বরং বাড়তি চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
সতর্কতা
বলা হয়ে থাকে যে, জোয়ান গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবতীদের এই মসলা না খাওয়াই উচিত।
আরও পড়ুন