চুল ধোয়ার সেসব সঠিক পন্থা বাতলে দিয়েছেন ভারতের আরবানক্ল্যাপ ডটকমের রূপবিশেষজ্ঞ ভাভিয়া শর্মা এবং বিউটি সোর্সের রাগিনি ভারাত্রাম।
ধোয়ার জন্য প্রস্তুতি: চুল ধোয়ার দুতিন ঘণ্টা আগে তেল দিন। তেল মালিশ করলে মাথার ত্বকের লোমকূপ খুলে যায় ফলে পুষ্টি শোষণ আরও ভালো হয়। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত আলতোভাবে তেল মালিশ করতে হবে। নারিকেল, সরিষা বা জলপাই যে কোনো তেল ব্যবহার করা যাবে।
ধুবেন আলতো করে: প্রথমেই কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে, যাতে বাড়তি তেল ও মাথার ত্বকের মরা চামড়া পরিষ্কার হয়। পাশাপাশি এতে চুলের গোড়া আরও নরম হবে। চুল পুরোপুরি ভেজা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর হাত দিয়ে নাড়তে হবে।
শ্যাম্পু: প্রাকৃতিক ঝলমলে ভাব ও আর্দ্রতা পেতে সঠিক শ্যাম্পু বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। শুষ্ক চুলের জন্য চাই ‘সালফেট’ ও ‘প্যারাবেন’ মুক্ত শ্যাম্পু। পাতলা চুলের জন্য ‘ভলিউমাইজিং’ শ্যাম্পু আদর্শ। আর সব ধরনের চুলের জন্যই এড়িয়ে চলতে হবে সিনথেটিক উপাদান যুক্ত শ্যাম্পু।
শ্যাম্পু ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়।
কন্ডিশনার ব্যবহার: শ্যাম্পু ধোয়ার পর গোড়া শক্ত এবং চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়। এটি মাখতে হবে শুধুই চুলে, মাথার ত্বকের নয়। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অন্যান্য সতর্কতা
* চুল ধুতে হবে কুসুম গরম পানি দিয়ে, গরম পানি নয়।
* সপ্তাহে একবার কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। চুলের মাস্ক আরও গভীরে আদ্রতা পৌছায় এবং ক্ষতিপুরণ করে।
* অল্প শ্যাম্পু নিয়ে মাথা থেকে শুরু করে চুলের আগা পর্যন্ত মাখাতে হবে।
* চুল ভালোভাবে শুকাতে হবে। সবচাইতে ভালো উপায় হল চুলে তোয়ালে কিংবা গামছা মুড়িয়ে রাখা।
* একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আপনার চুল ও মাথার ত্বকের ধরন জেনে নিন। আর সেই ধরন অনুযায়ী সহনীয় প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
* প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত হয়। বিশেশজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু আর দুবার তেল মালিশ করা ভালো।
* খুশকি কখনও অবহেলা করা যাবে না। যত দ্রত সম্ভব খুশকিনাশক শ্যাম্পু এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য শ্যাম্পু ব্যবহার করা শুরু করতে হবে। যতদিন না খুশকি ভালো হয়।
* একেক দিন একেক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হয়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন