অস্বাস্থ্যকর খাবার, বিশ্রামের অভাবসহ নানান কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেখা দেয় অসুখ। সুস্থ থাকতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
Published : 25 Apr 2018, 05:02 PM
ভারতীয় পুষ্টিবিদ এবং ‘দি গ্রেট ইন্ডিয়ান ডায়েট’ বইয়ের লেখক ল্যুক কুটিনো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা করেন। যেমন-
যখন তখন সংক্রমণ ও অ্যালার্জি: যদি অন্যদের তুলনায় বেশি অসুস্থ হন– বার বার ঠাণ্ডা লাগা, হাঁচি(ধুলার কারণে অ্যালার্জি), স্থায়ী কাশি, গলা ব্যথা, ত্বকে দানা দানা ওঠা ইত্যাদির মানে হল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
ফাঙ্গাসে আক্রান্ত, ডায়রিয়া, মাড়ি ফোলা, মুখে ফুসকুড়ি, লিম্ফ বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পানির মতো জমে ফুলে ওঠা ইত্যাদি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার লক্ষণ।
অনেক মানুষ পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই অসুস্থ হয়ে যায়। এর কারণ হতে পারে শরীরের তাপমাত্রা কম। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ব্যক্তির সুস্থ অবস্থায় মুখের তাপমাত্রা ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হয় না। কারণ সাধারণ ঠাণ্ডার ভাইরাস যেমন- রাইনোভাইরাস ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শক্তি পায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করা শরীরের তাপমাত্রা ও কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া রসুন, আদা, দারুচিনি, এলাচ ইত্যাদি মসলা শরীর গরম রাখতে ভালো কাজ করে।
জ্বর না হওয়া: প্রয়োজনের সময় জ্বর না হওয়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার লক্ষণ। শরীরের নানান রোগের প্রতিরোধের জন্য জ্বর হওয়া প্রয়োজন। অধিকাংশ মানুষই জ্বর কমানোর জন্য ওষুধ খায়, যা শরীরকে ঠিক মতো কর্মক্ষম থাকতে দেয় না। সংক্রমণ ছাড়া যদি কয়েক বছর জ্বর না হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
দুর্বল অন্ত্র: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ৮০ শতাংশ নির্ভর করে অন্ত্রের সুস্থতার উপর। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটফাঁপা ইত্যাদি দুর্বল অন্ত্রের লক্ষণ। দুর্বল অন্ত্র বলতে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার অসামঞ্জস্যতাকে বোঝায়। তাই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি।
ভিটামিন ডি কম থাকা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আমাদের অধিকাংশেরই এই ভিটামিন কম। রক্তে ভিটামিন ডি’য়ের মাত্রা কম থাকলে তা বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। তাছাড়া, সবসময় আসুস্থ থাকা, ক্লান্ত লাগা, ঘুম ঘুম ভাব, কোনো আঘাত ভালো হতে অনেক সময় লাগা, রক্ত শূন্যতা, হতাশা, চোখের নিচে কালো দাগ ইত্যাদি দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ।
অতিরিক্ত ‘মিউকাস’ বা শ্লেষ্মা উৎপাদনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমের লক্ষণ। বাড়তি চিনি, লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও দুধের তৈরি খাওয়া বাদ দেওয়া এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।
ছবির মডেল: শিহাব শাহরিয়ার। মেইকআপ: আহান রহমান। ফটোগ্রাফার: কেএ রহমান। স্টুডিও: ইমাজিনইট।
আরও পড়ুন