টক দইয়ের নানান গুণ

দুগ্ধজাত খাবার টক দই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2018, 08:19 AM
Updated : 24 April 2018, 08:19 AM

ভারতের এপিএস কসমেটোফুড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা হিমাংশু চাড্ডা এবং খাদ্যা ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞ নমামি আগারওয়াল জানিযেছেন টক দইয়ের উপকারী দিক।

রোদপোড়া সারাতে: ত্বকের পোড়া অংশে টক দই মাখিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। টক দইয়ে আছে দস্তা এবং প্রদাহরোধী উপাদান। এছাড়াও আছে ‘প্রোবায়োটিক’ যা ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যাবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

ব্রণ: ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকরোধী উপাদান থাকায় টক দই দিয়ে ব্রণ নিরাময় করা যায়। যেখানে ব্রণ হয় সেখানে আধ ঘণ্টা টক দই মাখিয়ে ধুয়ে ফেললেই কাজ শেষ। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে পরিষ্কার।

চুলের কন্ডিশনার: টক দইয়ের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান শুষ্ক, রুক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে অত্যন্ত কার্যকর।

এককাপ টক দই ফেটে ক্রিম বানিয়ে তা মাথার ত্বকে ও চুলে প্রয়োগ করতে হবে। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চুল পড়া কমাতে: টক দইয়ে আছে ভিটামিন বি ফাইভ এবং ডি, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও মিষ্টি দই আর গোলমরিচের মিশ্রণ চুল পড়া কমাতে সহায়ক। মিষ্টি দই আর আমলকী গুঁড়ার পেস্টও চুল পড়া কমায়।

অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য: অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বাড়ানোর মাধ্যমে হজম পদ্ধতির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় টক দই। ডায়রিয়া, পেট ফোলা এবং আইবিএস’য়ের মতো হজমজনীত সমস্যা সারাতেও টক দইয়ের জুড়ি নেই।

হাড়ের শক্তি বাড়াতে: খাদ্যাভ্যাসে টক দই যোগ করলে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা পূরণ হবে। ফলে হাড় থাকবে শক্তিশালী। হাড়ে বজায় থাকবে খনিজের স্বাস্থ্যকর মাত্রা। ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি খাদ্যাভ্যাসে থাকলে তা বাতের জন্য চিকিৎসা হিসেবে কাজ করবে।

নারীর সুস্বাস্থ্য: সদ্য প্রস্তুত দই খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয় নারীদের। কারণ, তা বিভিন্ন ‘ইস্ট’জনীত প্রদাহ যেমন ‘ক্যানডিডা’য়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ধরনের রোগ নারীদের অনেক যন্ত্রণা দেয়। টক দইয়ে থাকা ‘ল্যাক্টোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস’ নামক ব্যাকটেরিয়া ইস্ট প্রদাহ থেকে রক্ষা্ করে।

আরও পড়ুন