বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে ৬ ও ৭ এপ্রিল পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাভাষী নারীদের নেটওয়ার্ক ‘মেয়ে’ আয়োজিত বাংলাদেশি উদ্যোগের মেলা ‘রাঙতা’।
‘মেয়ে’ বাংলাভাষী নারীদের নিয়ে মিলেমিশে গড়ে ওঠা একটি অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক। মেয়েদের বন্ধুতা, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ ‘মেয়ে’র প্রতিপাদ্য।
২০১১ সালের জুনে একটি ফেইসবুক গ্রুপ থেকে যাত্রা শুরু করে অনলাইন থেকে অফলাইনে সম্মিলিত মত বিনিময়, ভাবনার বিকাশ ও উদ্যোগের প্রসারের মধ্য দিয়ে গত সাড়ে ৬ বছরে প্রায় ৬ হাজার নারীর নির্ভরতার ঠাঁই হয়ে উঠেছে ‘মেয়ে’। যুগ যুগ ধরে নারীকে যে নীরবতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তার দেয়ালে নিজেদের সোচ্চার কণ্ঠ দিয়ে ফাটল ধরাতে মেয়েদেরকে একত্রিত করে বিশাল এক পরিবার হয়ে উঠেছে ‘মেয়ে’। সময়ের সঙ্গে সেই পরিবারে যোগ দিয়েছেন পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও।
এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ‘মেয়ে’র অনেক অনেক উদ্যোগের মাঝে একটি হল ‘রাঙতা’ নামের মেলা।
‘মেয়ে’ বিশ্বাস করে নারীর ক্ষমতায়নে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার কোনো বিকল্প নেই। সেই ভাবনা আর আলোচনার সূত্রে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে কিছু নবীন উদ্যোক্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম আয়োজন। প্রথম মেলার অভাবনীয় সাফল্য উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘মেয়ে’র নতুন শাখা ‘হুটহাট’য়ের সৃষ্টি ও প্রসারে উৎসাহ জুগিয়েছে।
ব্যবসায়িক মুনাফা নয়, বরং ভালোলাগা এবং মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ক্রেতাবিক্রেতার সমাহার সৃষ্টি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন 'রাঙতা'র সাফল্যের মূলমন্ত্র। তাই বাজারচলতি বিদেশি পণ্যের ভীড়ে একান্তই নিজস্ব সৃষ্টিশীলতা নিয়ে ব্যতিক্রমী পথে হেঁটে চলেছে ‘রাঙতা’।
বরাবরের মতো এবারও মেলাতে অংশগ্রহণ করছেন মেয়ে নেটওয়ার্কের উদ্যোক্তা শাখা ‘হুটহাট’য়ের কয়েকজন অনন্য উদ্যোক্তা। সেই সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হুটহাটের বাইরের কিছু আনকোরা উদ্যোক্তা।
‘মেয়ে’র নিজস্ব স্টলসহ মোট ৪৪টি স্টলে নিজেদের পণ্যের পসরা সাজাবে ৫৫টি উদ্যোগ।
মেলায় পাওয়া যাবে নতুন-পুরাতন বই, গাছ, হরেক রকম খাবার, মসলা, ছোট বড় সকলের জন্য নিজস্ব নকশার জামাকাপড়, দেশীয় তাঁতের শাড়ি, দেশি জামদানি, কাতান, নকশিকাঁথা শাড়ি, হাতে বানানো গয়না, রংতুলিতে আঁকা পোশাক, গৃহস্থালির সরঞ্জাম, চামড়াজাত পণ্য, ব্যাগ, জুতা, নির্ভরযোগ্য প্রসাধনী, খেলনা, পেইন্টিং এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা।
এবার প্রথমবারের মতো মেলায় কার্ডে মূল্য পরিশোধের সুবিধা রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকবে বাড়িতে মেলার পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা।
মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
-বিজ্ঞপ্তি।