আনন্দময় কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে

সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ এবং সুখী কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়ক। তাই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আনন্দময় কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2018, 09:03 AM
Updated : 3 April 2018, 09:05 AM

আনন্দময় কর্মপরিবেশ তৈরি করার উপায় দিয়েছেন ভারতের ‘জাম্পিং হাইটস বিজনেস ডেভেলপমেন্ট’য়ের পরিচালক নিহারিকা নিগাম।

কর্মীদের মূল্যায়ন: একটি প্রতিষ্ঠানের জনসম্পদ বা ‘এইচআর’ বিভাগের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রতিটি কর্মী যাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তা নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সঙ্গে এর সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে অসংখ্য গবেষণায়।

ইতিবাচক পরিবেশ: গোছানো উপায়ে কাজ করার জন্য কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ থাকা জরুরি। কর্মীদের মধ্যে কাজের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ যাতে কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত বিধি-নিষেধপূর্ণ না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

কর্মীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া: এতে কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে। তারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠানের একজন অংশীদার মনে করবে। তবে শুধু মতামত ব্যক্ত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, সেই মতামতের গুরুত্বও দিতে হবে।

কাজের স্বাধীনতা: প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে, যা প্রতিটি কর্মী মেনে চলতে বাধ্য। তবে কী উপায়ে কাজটি করা হবে সে বিষয়ে কর্মীদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। কর্মীর উপর কোনো কৌশল চাপিয়ে দিলে কাজের গতি কমে যেতে পারে। অপরদিকে তার পছন্দসই উপায়ে কাজ করার সুযোগ দিলে কাজ হবে দ্রুত, বাড়বে কর্মীদের আত্নবিশ্বাসও।

উদ্দীপনা: কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কাজে অনুপ্রেরণা যোগানো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, আর তা শুধু বেতন-ভাতাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ভালো কাজের প্রশংসা, কর্মীর সফলতা উদযাপন ইত্যাদি ছোটখাট বিষয় একজন কর্মীর কাছে অনেক বেশি সম্মানজনক।

অনুমোদন: একজন কর্মীর উপযুক্ত প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণির কর্মকর্তার কাছে নিজের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ থাকা উচিত। এতে সে নিজেকে সামান্য কর্মচারি নয় বরং একটি কর্মীদলের অংশ মনে করবে। ফলে নিম্নশ্রেণির কর্মীর মাঝেও হীনমন্যতা কমবে অনেকটা।

ভারতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গ্রিন কার্পেট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মায়না বাতাভিয়া যোগ করেন আরও কিছু উপদেশ।

* একজন কর্মীকে তার কাজের জন্য প্রশংসা এবং পুরষ্কৃত করলে তার আরও ভালো কাজ করার স্পৃহা তৈরি হয়। আর এই প্রশংসা ও পুরষ্কার সকলের সামনে দেওয়া হলে ওই কর্মীর কর্মোদ্দম আরও কয়েক গুন বাড়ে। পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা তৈরি হয়।

* প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়, ফলে কাজের পেছনে ব্যয় হওয়া সময় কমে এবং আরও বেশি কাজ একই সময়ে করা সম্ভব হয়।

* আবার কর্মক্ষেত্রে বিনোদনের ব্যবস্থা তৈরি করার মাধ্যমে কর্মীদের একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পাশাপাশি কাজের ধকলও কমে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন