দুটি হাঁড়ি একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি হবেই, সংসারেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন্দল, বিরহ থাকবে। আবার থাকবে সুখের পরশ।
তবে এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো দাম্পত্যে ঝামেলার লক্ষণ- তবে সে বিষয়ে অনেকরই ধারণা থাকে না। সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এমনই কয়েকটি লক্ষণ নিয়েই এই আয়োজন।
বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য স্বামী-স্ত্রী দুইজনের নিরন্তন প্রচেষ্টা, খাপখাইয়ে চলা, যত্ন এবং ত্যাগের প্রয়োজন আছে। এর মধ্যে কৃতিত্বের কিছু নেই।
জীবন কল্পনার মতো সুন্দর নয়। প্রতিটি দম্পতি বৈবাহিক জীবনে নানান বিরূপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়। অনেকে তা অতিক্রম করতে পারেন, অনেকে পারেন না। ফলে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
অনেক সময় ঝামেলার কারণগুলো অনেক দেরিতে বোঝা যায়। অথচ আগেই ধরা গেলে সম্পর্কটা হয়ত টেকসই হত।
ঝগড়া: প্রতিটা বিবাহিত দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়ে থাকে। তবে সেটা ধরে রেখে সবসময় ঝামেলা করা বা একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকলে সম্পর্ক খারাপের দিকেই যেতে থাকবে। তর্ক স্বাস্থ্যকর না হলে ধীরে ধীরে তিক্ততায় রূপ নেবে। ছোটখাটো সব কিছু নিয়েই ঝামেলা করা এবং সেগুলো বাড়তে থাকা মোটেই স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক নয়।
প্রকৃত অর্থে, তর্ক থেকে সুফল না আসলে সম্পর্ক নষ্টের দিকেই যেতে থাকবে।
যোগাযোগ: যে কোনো একজন অথবা দুজনই সারাদিনের অনুভূতি বা কাজ সম্পর্কে সহভাগিতা করতে আগ্রহী না অথবা তার প্রয়োজন মনে না করেন না। কবে দুজনে শেষ মিষ্টি প্রেমের আলাপ করেছিলেন তা ঠিক মতো বলতে পারেন না। এমনকি নিজের সমস্যা সম্পর্কে সঙ্গীকে জানানোর পরও সেটা তার মনে নেই। তাহলে বুঝতে হবে দাম্পত্যে যোগাযোগের ঘাটতি রয়েছে যা মানসিক দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষণ।
আন্তরিকতা: সঙ্গীর প্রতি শারীরিক আকর্ষণের অভাবে যৌনজীবনে বিরক্তি চলে আসতে পারে। সম্পর্কের শুরুতে দুজন দুজনের হাত শক্ত করে ধরলেও এই পর্যায়ে এসে হয়ত সেই আকর্ষণ শেষ হয়ে গেছে এবং দুজনের কেউই আর সেই আকর্ষণ ফিরিয়ে আনতে চান না।
এতে আপনার যৌনজীবন অস্তিত্ব হারাবে এবং একে অপরের প্রতি যে আকর্ষণ ছিল তাও এখন শেষের পর্যায়ে।
ব্যবহারের পরিবর্তন: একে অপরের প্রতি অপমান ও বিরক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। সব কিছু ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরও একে অপরকে দোষারোপ করেন। ভালোবাসার ঘাটতি ও একে অপরের প্রতি সাবলীল অনুভব হারিয়ে ফেলছেন। এমনকি দুজনেই জীবন থেকে আলাদা জিনিস প্রত্যাশা করেন এবং দুজনের আর কোনো ক্ষেত্রেই মিল হয় না।
এগুলো সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার লক্ষণ। তাই বিবাহিত-জীবনের শুরু থেকেই এসবের প্রতি মনোযোগ দেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন