পাকা চুল ঢাকতে কিংবা নিছক ফ্যাশনের জন্য চুল রং করছেন! একটু সাবধান হন। সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে আপনি হয়ত চুলের ক্ষতি করছেন।
Published : 01 Apr 2018, 02:51 PM
একসময় শুধু কালো রং ব্যবহার করা হত। এখন লাল, নীল, বেগুনি, এমনকি সাদা রংও করেন চুলে। তবে এসব রংয়ের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যে পদ্ধিতে কেশ রাঙানো হয়, সেখানেও রয়েছে ত্রুটি।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কেশ রাঙানোর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়েই এই আয়োজন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি: আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, চুলের রংয়ের সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক পাওয়া গেছে অসংখ্য গবেষণায়। এর কারণ হল- চুলের রংয়ে থাকে এমন কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান যা চুলের মাধ্যমে ত্বকে ভেদ করে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
অ্যালার্জি: চুলের রংয়ে থাকে ‘প্যারাফিনাইলেনেডিয়ামিন’ নামক রাসায়নিক উপাদান। যা অ্যালার্জি হওয়ার প্রচলিত কারণ। এই উপাদান থেকে হওয়া অ্যালার্জির কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে রং পরিবর্তন, ফুসকুড়ি, তীব্র চুলকানি ইত্যাদি হতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা: চুলের রংয়ে থাকা আরেকটি রাসায়নিক উপাদান হল ‘পারসালফেটস’। এই উপাদান থেকে যাদের হাঁপানী রোগ নেই তাদেরও শ্বাস-প্রশ্বাসজনীত সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও চুলের রংয়ে থাকা ক্ষতিকর উপাদান নিয়মিত নিশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করলে শ্বাসতন্ত্রের মারাত্বক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চোখের সমস্যা: চুলের রং চোখে গেলে হতে পারে প্রদাহ, চোখ লাল হওয়া, পানি ঝরা, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যা।
ত্বকের ক্ষতি: ধারণা করা হয়, চুলের রং ব্যবহারের কারণে ত্বকের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা।
ত্বক তৈরি হয় ‘কেরাটিনাইজড’ প্রোটিন দিয়ে। এই প্রোটিনের সঙ্গে চুলের রং মিশলে ত্বকের রং নষ্ট করে। তাই কেশ-বিশেষজ্ঞরা চুলে রং ব্যবহারের সময় হাত-মোজা ব্যবহারের উপর জোর দেন।
ছবি: রয়টার্স।