শুধু চর্মরোগ হলেই নয়, অনেকদিন ধরে ব্রণের সমস্যা ভুগলে বা ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে গেলেও ত্বক-বিশেষজ্ঞের কাছে যেয়ে সমস্যার প্রধান কারণ জানার চেষ্টা করতে হবে।
Published : 29 Mar 2018, 02:38 PM
শরীরের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের আয়না হল আমাদের ত্বক। অনেকসময় শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা দেওয়া বিভিন্ন সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় আমাদের ত্বকে, তবে মানুষ তা না বুঝে অবহেলা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রণের সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতেই থাকে কিংবা ত্বক যদি বেশি শুষ্ক হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার উচিত।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ভারতের ‘বিএলকে সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’য়ের চর্মরোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শদাতা নিতিন এস. ওয়ালিয়া এবং ‘নানাভাতি সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’য়ের ত্বক, কেশ ও রূপ বিশেষজ্ঞ বন্দনা পাঞ্জাবি।
ব্রণ: বয়ঃসন্ধিতে এবং যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতেই থাকে, তাহলে হয়ত হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা থাইরয়েডজনীত সমস্যা রয়েছে।
শুষ্কতা: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়া স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণ হতে পারে থাইরয়েড কিংবা ডায়বেটিস।
চুলকানি: ডায়বেটিস কিংবা শরীরের কোনো অংশে প্রদাহের উপসর্গ হতে পারে চুলকানি। বিশেষ করে, অতিরিক্ত ‘বিলুরুবিন’ কিংবা ‘ক্রিয়েটিনিন’য়ের কারণে শরীরে চুলকানি হয়ে থাকে। যার অর্থ হতে পারে বৃক্ক কিংবা যকৃতের সমস্যা।
ফুসকুড়ি ও অ্যালার্জি: এই সমস্যাগুলোর কারণ সাধারণত রোদে পোড়া। তবে ভাইরাস সংক্রমণ কিংবা ওষুধের অ্যালার্জিও উপসর্গও হতে পারে।
বগল ও ঘাড় কালো হওয়া: এই সমস্যাকে বলা হয় ‘একানথোসিস নিগ্রিকানস’, যা ইঙ্গিত করে ইনসুলিনের বিরোধীতা এবং ডায়বেটিসের পূর্বাভাস। মানুষ প্রায়শই মনে করে এগুলো শুধুই ময়লা কিংবা কোনো ধরনের অ্যালার্জি, তবে আসলে তা নয়।
হলদেভাব: চোখের চারপাশে এই উপসর্গ বেশি দেখা যায়। আসলে এগুলো হল কোলেস্টেরল জমা হওয়া। অস্বাভাবিক লিপিড প্রোফাইল-ও এরসঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে।
লালচেভাব: মুখের ত্বকে বিশেষ করে গালে ও নাকের চারপাশে দীর্ঘমেয়াদি লালচেভাব, মাঝে মধ্যে চুলকানি ইত্যাদি হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাজনিত রোগ ‘লুপাস’য়ের উপসর্গ। এই রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৃক্ক, পাকস্থলি, হাড়ের জোড় এবং মুখগহ্বর।
ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন