সন্তান কি স্কুলে খারাপ সময় কাটাচ্ছে?

স্কুলে সন্তানের ফলাফল খারাপ হওয়া বা পড়ায় অমনোযোগী হওয়া মানে সে মেধাবী না– তা কিন্তু নয়। এমনও হতে পারে সে সব কিছুর চাপ একসঙ্গে সামলাতে পারছে না। তাই তার প্রতি মনযোগী হোন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2018, 08:00 AM
Updated : 23 March 2018, 08:00 AM

শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে স্কুল বা বাড়ির চাপ সামলাতে শিশুর কষ্ট হলে বা মানিয়ে নিতে অসুবিধা হলে অভিভাবকের কী করণীয় তা এখানে দেওয়া হল।

নিয়মের ভীতি: অভিভাবক হিসেবে যদি এখনও বিশ্বাস করেন যে, পড়া না পারলে আগের মতো স্কুলে শাস্তি দেওয়ার বিধান উপযুক্ত তাহলে এখনই এই ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করুন। সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা ও যোগাযোগের পরিবর্তে তাকে কেবল বকাঝকা বা কঠিন শাস্তি দেবেন না, শিশু এতে ভয় পাবে। তাই শিশুর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন, তাকে উৎসাহিত করুন, ফলে তার দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর তা সমাধানে সাহায্য করতে পারবেন।

তুলনা করবেন না: শিশু-বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা বাবা-মায়ের একটা বড় ভুল। স্কুলের পরিবেশ যদি শিশুর জন্য অনুকূল না হয় তাহলে তাকে কোনোভাবেই তার বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। শিশুর নিজের কিছু শক্তিশালী ও দুর্বল দিক আছে। তাই কীভাবে তার দুর্বলতা কমানো যায় এবং মেধা বিকশিত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।  

অতিরিক্ত নিয়ম না চাপানো: বাসায় যদি সুশৃঙ্খল পরিবেশ রাখতে চান তাহলে অকারণে অতিরিক্ত কড়া হবেন না। সন্তান যদি স্কুল অথবা বাসার নিয়ম ও চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে তাহলে তাকে কঠিন নিয়মে বেঁধে না রেখে তার বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন। 

অবহেলা না করা: সন্তান স্কুলে মানিয়ে নিতে পারছেনা মানে সে মেধাবি না- তা কিন্তু নয়। সন্তানের মেধা বা ক্ষমতা নিয়ে কোনো সন্দেহ রাখা ঠিক না এবং তাকে কখনও অন্যের সামনের ছোট করবেন না। বরং সকলের সামনে তার ভালো দিক নিয়ে প্রশংশা করুন।  

অসম্ভব কিছু আশা না করা: সন্তান জীবনে উন্নতি করুক নিশ্চয়ই চান। তবে সেটা যেন বাস্তব সম্মত হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে যদি সন্তানকে হিমশিম খেতে হয় তাহলে সেটা তার মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

জীবনে মাঝেমধ্যে বিফল হওয়া স্বাভাবিক এটা সন্তানকে বোঝান। তাই একবার হেরে গিয়ে হতাশ না হয়ে সামনে আগানোর উৎসাহ দিন।

আরও পড়ুন