ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের যত্ন

দিনে কড়া রোদ, ঘরে থাকলে লোশন না মাখলে চামড়া টানে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে তাই ত্বকের যত্নে চাই বিশেষ পরিচর্যা।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2018, 09:14 AM
Updated : 21 March 2018, 09:35 AM

ত্বকের বিশেষ যত্নের পন্থা জানিয়েছেন, ভারতের ‘কিহল’স ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপক শাম কুমার, ‘আইএসএএসি’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চিকিৎসাবিদ্যা পরিচালক গিতিকা মিত্তাল এবং ‘আরএএস লাক্সারি অয়েল’য়ের প্রতিষ্ঠাতা সুভিকা জেইন। 

* ‘এক্সফোলিয়েটিং’ এই সময়ে ত্বকের প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য অনন্য। ত্বকের ধরন বুঝে স্ক্রাব, ফেইস মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করে এক্সফোলিয়েশন করতে হবে।

এতে দূর হবে মরা কোষ ও চামড়ার অবশিষ্টাংশ। টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বাড়াতে হবে আর্দ্রতা।

* সানস্ক্রিন বা এসপিএএফ লোশন ব্যবহারের আগে পুষ্টি সরবরাহ করে এমন ফেইশল অয়েল মেখে নিতে হবে।

* ত্বকের উপরের শক্তিশালী মরা চামড়ার আস্তর তুলতে ‘পিল অফ’ ধরনের মাস্কগুলো কাজে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল সাবুদানার নির্যাস আছে এমন কিছু ব্যবহার করা। কারণ, এতে থাকবে এক্সফোলিয়েটিং উপাদান, ত্বকের জন্য হবে হালকা এবং সংবেদনশীল ও ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্যও নিরাপদ।

* ত্বকের লাবন্য ফিরিয়ে আনতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জুড়ি নেই। বিভিন্ন সেরাম ও ময়েশ্চারাইজারে থাকা ভিটামিন সি এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও এগুলো ত্বকের কোষকলা এবং ‘ইলাস্টিন’ নামক উপাদানের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, রক্ষা করে মুক্ত মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও।

* সন্ধ্যায় নিতে হবে ত্বকের বাড়তি যত্ন। ত্বকের জন্য উপকারী কয়েকটি এসেন্সিয়াল অয়েল তৈরি হয় ‘প্রিমরোজ’ জাতের ফুলের পাকা বীজ থেকে যা ফোটে সন্ধ্যায়। এতে থাকে কিছু বিশেষ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীর নিজ থেকে তৈরি করতে পারে না। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। অপরদিকে ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বককে করবে স্বাস্থ্যোজ্জল।

* ভিটামিন সি সেরাম একটি আবশ্যক প্রসাধনী। এর শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বায়ু দূষণের কারণে শরীরের উপর আসা মুক্ত মৌলের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়, বাড়ায় উজ্জলতা।

* ভিটামিন এ লড়াই করে ত্বকের বলিরেখার বিরুদ্ধে। ফলে ত্বক হয় মসৃণ, কমে বয়সের ছাপ। ‘রেটিনল হল এই ভিটামিনের অন্যতম উৎস।

* স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ ত্বকের যত্নেও এর গুরুত্ব অনেক। প্রদাহ সৃষ্টিকারী যেমন- অতিরিক্ত তেলযুক্ত, দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। খেতে হবে প্রচুর পরিমানে ফল ও সবজি।

* আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। গোলাপজল ও অন্যান্য ফুলভিত্তিক পানি মেখেও আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব।

ছবির প্রতীকী মডেল: রামিসা নিলা। মেইকআপ: ভূবন হাওলাদার। ফটোগ্রাফার: শরিফ আহমেদ। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।

আরও পড়ুন