হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে

অতিরিক্ত ওজন আর হৃদরোগের ঝুঁকি- একটির থেকে অন্যটি আলাদা করা প্রায় অসম্ভব। তিন লাখ মানুষের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2018, 07:54 AM
Updated : 19 March 2018, 07:55 AM

ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত হওয়া গবেষণায় জানানো হয়, বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’য়ের মাত্রা প্রতি বর্গমিটারে ২২-২৩ কেজির বেশি হলেই হৃদরোগ ও রক্তনালীজনীত শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা বাড়তে থাকে, বলা হয় এই গবেষণায়।

আরও বলা হয়, কোমরে চর্বি যত বাড়বে, রোগের ঝুঁকিও ততই বৃদ্ধি পাবে।

গবেষণার প্রধান গবেষক, ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো’র স্তামাতিনা ইলিওদ্রোমিতি বলেন, “বিএমআই ইনডেক্সের মাত্রা প্রতি বর্গমিটারে ২২-২৩ কেজির মধ্যে রাখতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।”

অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়- অসংখ্য গবেষণাতেই এমন দেখা গেছে। তবে কিছু গবেষণা এর বিপরীতটাও ইঙ্গিত করে।

হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়া এমনকি মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে মোটা হওয়া কিংবা বেশি খাওয়ার কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। বরং মোটামুটি মাত্রায় সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা গেলে অতিরিক্ত ওজন দিতে পারে এই রোগগুলো থেকে সুরক্ষা।

এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘ওবেসিটি প্যারাডক্স’।  

তবে আলোচ্য গবেষণায় এই ধারণাকে নাকচ করে। ইলিওদ্রোমিতি বলেন, “চর্বি হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো হতে পারে এমন ভুল ধারণা বদলাতে হবে।”

গবেষকরা দেখেন, বিএমআই্ ইনডেক্সের মাত্রা প্রতি বর্গমিটারে ২২ কেজির উপরে গেলেই নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি ৫.২ কেজি বৃদ্ধিতে আর পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ৪.৩ কেজি বৃদ্ধিতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ১৩ শতাংশ।

ইলিওদ্রোমিতি বলেন, “ওবেসিটি প্যারাডক্স’ ধারণার বিরুদ্ধে এটাই এখন পর্যন্ত সব চাইতে বড় প্রমাণ। অন্য রোগের ক্ষেত্রে এই ধারণা সত্য হলেও হতে পারে। যেমন- ক্যান্সার। এই রোগে সামান্য অতিরিক্ত ওজন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। কারণ, ক্যান্সার ও এর চিকিৎসা অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় ওজন কমায়।”

ছবি: দীপ্ত।

আরও পড়ুন