ইট-রড-সিমেন্টের ঘরে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের ব্যবস্থা না করলে শরীর-মন হবে দুর্বল।
Published : 14 Mar 2018, 01:22 PM
শহরাঞ্চলের বাড়ি-ঘরগুলোতে যান্ত্রিক ও প্রযুক্তি নির্ভর পরিবেশ হয়ে যাচ্ছ। এয়ারকন্ডিশনার, যান্ত্রিক পাখার বাতাস কিংবা বৈদ্যুতিক বাল্বের আলোতেই কাটছে ঘরে থাকা সময়। অথচ প্রাকৃতিক আলো-বাতাস ঘরে না খেললে দেহ-মন ফুরফুরে থাকবে না।
তাই ঘর সাজাতে হবে এমন ভাবে যাতে বাড়ি হয়ে ওঠে শক্তির উৎস। আর সেই পন্থাই জানানো হল
গৃহসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অবলম্বনে।
প্রাকৃতিক আলো
মুম্বাই ভিত্তিক স্থপতি শ্রুতি সুব্রামানিয়ান বলেন, “পাশ্চাত্যে প্রাকৃতিক তাপ ও সূর্যের আলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতীয়দের অধিকাংশ আধুনিক বাড়িতেই স্থায়ী অন্ধকার জানালা, পর্দা, সানশেইড, সানরুফ বা ছাদ থেকে ঘরে সূর্যালোক ঢোকর ব্যবস্থা ও চাদোয়ার ব্যবহার হয়। যা সূর্যের আলোয় আলোকিত করে ঘর তবে তাপের মাত্রা কমায়।”
দেয়াল ও জানালা
দিল্লিভিত্তিক স্থপতি সাহিবা সিং বলেন, “ধূসর ও তামাটে রং গরম আবহাওয়ায় মানানসই। হালকা তামাটে রং সরল, প্রাকৃতিক এবং এর বহুমুখী শেইড আছে যা বসার ঘরের পর্দা, কুশন, বালিশ ও অন্যান্য আসবাবকে আরও চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে।”
আলোক ব্যবস্থা
“একটা উজ্জ্বল বাতি ব্যবহারের পরিবর্তে একাধিক কম ওয়াটের বাতি ব্যবহার করুন। এর ফলে ঘরে সুন্দর আলো ছায়ার খেলা ও আবেদন বাড়াতে পারবে।” এমনটাই পরামর্শ দেন সিং।
ঘরের স্বয়ংক্রিয়তা
স্থপতি ও গৃহসজ্জাকারী আশিষ শাহ জানান, “হোম অটোমেশন বা ঘরের স্বয়ংক্রিয়তা শক্তি বাঁচানোর ভালো উপায়। ঘরে আবশ্যিক বিষয়গুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক আলো, বাতাস চলাচল, আধুনিক সংরক্ষক একক এবং সম্পদ ব্যবহারে সঠিক উপাদান ব্যবহার অন্যতম। যদি প্রযুক্তি নির্ভর বাড়ি তৈরি করতে চান তাহলে ঘরে স্বয়ংক্রিয় বিষয় যেমন- আলোক শক্তি, সোলার প্যানেল এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন। বর্তমানে শিল্পকলাতেও ডিজিটালের ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে গতিশীল চিত্রের মাধ্যমে।”
আরও পড়ুন