গৃহস্থালী ও সাজসজ্জা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সুগন্ধি কেনার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
* সুগন্ধি স্প্রে’র চেয়ে তরল সুগন্ধি কেনা ভালো। কারণ এর ঘনত্ব বেশি ও সুবাস দীর্ঘস্থায়ী হয়।
* যে কোনো সুগন্ধি কেনার আগে প্রথমে ‘স্মেইলিং স্ট্রিপ’ থেকে তার ঘ্রাণ নিয়ে দেখতে হবে। যদি পছন্দ হয় তাহলে নিজের ত্বকে লাগিয়ে দেখতে হবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কতটা পরিবর্তিত হয়।
স্ট্রিপয়ে সুগন্ধি স্প্রে করা হলে প্রথমেই যে ঘ্রাণ আসে তাকে বলে ‘টপ নোট’ এটা পাঁচ থেকে দশ মিনিট স্থায়ী হয়। তবে তা নির্ভর করে সুগন্ধির গঠনের উপর।
* এর ঠিক পরবর্তি ১০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত যে ঘ্রাণ থাকে তাকে বলা হয় ‘কোর অফ ফ্রেইগ্রান্স’ বা সুগন্ধির প্রাণ। এই ঘ্রাণ অপরিবর্তিত থাকে।
এরপর তা শুকিয়ে যাওয়ার পরে যে ঘ্রাণ থাকে বলা হয় বেইজ নোট, এটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদি ত্বকে পরিবর্তিত হওয়া ঘ্রাণ পছন্দ হয় তাহলে তা আপনার জন্য উপযোগী।
* সুগন্ধি নির্বাচন করার সময় কয়েকটি দেখার পরে কফি বিনের ঘ্রাণ নিন। এটা সংবেদনকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে এবং আপনি আবার নতুন সুগন্ধির ঘ্রাণ নিয়ে দেখতে পারবেন।
* সুগন্ধি কেনার আগে যাচাই করার সময় কেবল হাতের কবজিতে লাগিয়ে দেখা ঠিক নয়। স্থান পরিবর্তন করে লাগানো উচিৎ এতে সঠিক ঘ্রাণ পাওয়া যাবে।
* সুগন্ধির গায়ের লেবেল দেখে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে অনেক উপাদানের নাম লেখা থাকে যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সুগন্ধি কেনার সময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী কেনা ভালো।
* গন্ধের তীব্রতা দেখে নেওয়া প্রয়োজন আছে। অনুষ্ঠানের জন্য ২০ থেকে ৪০ শতাংশ তীব্রতা সম্পন্ন সুগন্ধি ব্যবহার আদর্শ। তাই কেনার সময় তরলের গাঢ়তা দেখে নেওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন