বিটের উপকারিতা

এক সময় সালাদে বিট ব্যবহারের প্রচলণ ছিল। এখন সেটা খুব একটা দেখা যায় না। অথচ বিট স্বাস্থ্যসুরক্ষায় বেশ উপকারী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2018, 09:06 AM
Updated : 9 March 2018, 09:07 AM

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে এই কন্দবিশিষ্ট সবজি নিয়ে প্রকাশিত খাদ্য ও ‍পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয় শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে ও পুষ্টি যোগান দিতে বিটরুট আদর্শ ভূমিকা পালন করে।

বিট খুব ভালো নিরাময়ক। যকৃত থেকে বিষাক্ত উপাদান সবচেয়ে ভালো ভাবে সরাতে পারে এমন খাবারের মধ্যে বিট একটি। এতে আছে বিটেইন যা যকৃতের সকল অপদ্রব্য দূর করতে সাহায্য করে। বিট পিত্তরস পাতলা করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবারহ করে যা যকৃতকে ‘অক্সিডেটিভ’ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।  

বিটরুট রক্ত ও হৃদয় সুস্থ রাখে। এর নাইট্রেইট উপাদান নাইট্রিক অ্যাসিড সরবারহ করে যা রক্তপ্রবাহ উন্নত করে ও রক্তচাপ কমায়। এটা লোহিত কোষ সমৃদ্ধ করে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এবং শরীরে অক্সিজেনের সরবারহ বাড়িয়ে কর্মশক্তি বাড়ায় ও হৃদরোগ দূরে রাখে। এছাড়াও বিট খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।    

বিট উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ, যা পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং সংবেদনশীল পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতে সাহায্য করে। এর ফোলেট ও বেটালেইন নামক উপাদান হজমক্রিয়া ভালো রাখে ও প্রজননস্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।

বিট অস্টিওপোরোসিস দূর করে এবং হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে (এর নাইট্রিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়ামের জন্য)। এছাড়াও আছে ক্যারোটেনয়েডস ও লুটেইন যা অ্যান্টি-এইজিং হিসেবে কাজ করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মস্তিষ্ক সচল রাখে। আর আলৎঝাইমা’স নামক রোগ প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন

রেসিপি: বিট ভাজি