যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন’য়ে অবস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ উইসকন্সিন হসপিটালস অ্যান্ড ক্লিনিকস’য়ের চিকিৎসক নাথানিয়েল পি. ব্রুকস বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে মোটসাইকেলে দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেল-হেলমেট পরা থাকলে ‘সার্ভিকাল স্পাইন’ বা খুলি থেকে গলার পেছনে বা ঘাড় পর্যন্ত মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি কমায়।”
গবেষণায় আরও দেখা গেছে ‘সার্ভিকাল স্পাইন ইনজুরি’ বা সিএসআই হওয়ার সম্ভাবনা কমানোর পাশাপাশি আংশিকভাবে ‘সার্ভিকাল ভারটেব্রা’ বা মেরুদণ্ডের কশেরুকা ফাটার ঝুঁকিও কমায়।
গবেষকরা জানান, হেলমেট না পরার অন্যতম কারণ হচ্ছে ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা’। এছাড়া কম দেখতে পাওয়ার জন্যেও অনেকে হেলমেট পরেন না। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন হেলমেটের ভার মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চাপ সৃষ্টি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’য়ের তথ্যানুসারে, হেলমেট পরার জন্য ২০১৬ সালে ১ হাজার ৮শ’ ৫৯ জন মোটরসাইকেল চালকের জীবন রক্ষা পায়। এছাড়া ৮০২ জনের জীবন বেঁচে যেত যদি তারা হেলমেট পরা থাকতো।
‘জার্নাল অফ নিউরোসার্জারি: স্পাইন’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য গবেষকরা মোটরসাইকেলে ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ হাজার ৬১ জন রোগীর চার্ট পর্যালোচনা করেন।
এই রোগীদের মধ্যে ৩২৩ জন (৩০.৪ শতাংশ) দুর্ঘটনার সময় হেলমেট পরা ছিলেন। ৭৩৮ জন (৬৯.৯ শতাংশ) পরা ছিলেন না।
হেলমেট না পরার জন্য অন্তত পক্ষে ১৫.৪ শতাংশ সিএনআই’য়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আর পরার জন্য হয়েছেন ৭.৪ শতাংশ।
হেলমেট না পরার জন্য রোগীদের মধ্যে প্রায়ই ‘সার্ভিকাল স্পাইন’ ভাঙে। যার সংখ্যা ৪.৬ শতাংশের তুলনায় ১০.৮ শতাংশ। পাশাপাশি লিগামেন্টে আঘাত পায় ০.৩ শতাংশের তুলনায় ১.৯ শতাংশ।
তবে হেলমেট পরা কিংবা না পরা গ্রুপের মধ্যে অন্যান্য আঘাত পাওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি। যেমন- স্নায়ূতন্ত্রের মূলে আঘাত, দেহের নিম্নাংশে চাপ কিংবা মেরুরজ্জুতে কালশিটে পড়া।
আরও পড়ুন