অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে পারে ওজন

অন্ত্রের বাস করা অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকার এক জীবের নাম ‘গাট ফ্লোরা’। যা কারও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, আবার কারও ক্ষেত্রে হতে পারে স্থূলতার কারণ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2018, 08:53 AM
Updated : 5 March 2018, 08:53 AM

সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই তথ্য দেন।

অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া আর স্থূলতার মধ্যে যোগসুত্র স্থাপনকারী এই গবেষণায় দেখা যায়, রক্তের কিছু নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়া এবং স্থূলতা দুইয়ের সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত।

“স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত ‘মেটাবোলাইটস’ চারটি অন্ত্রিয় ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে জড়িত। এগুলো হলো, ‘ব্লাউটিয়া’, “ডোরিয়া’, ‘রুমিনোককাস’ এবং এসএইচএ৯৮।” বলেন গবেষকরা।

‘জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও বলা হয়, “অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োটা’ শরীরের বিপাক ক্রিয়ার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ ও টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বহন করে।

এই বিষয়ে আগের গবেষণাগুলোয় দেখা গেছে, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন ‘মেটাবোলাইটস’জনীত সমস্যা দেখা যায়। ‘মেটাবোলাইটস’ হল রক্তে থাকা ক্ষুদ্রাকার বিপাকীয় উচ্ছিস্টাংশ।

‘মালমো অফস্প্রিং স্টাডি (এমওএস)’ গবেষণায় ৬৭৪ জন অংশগ্রহণকারীর রক্তরস ও মলের নমুনা পরীক্ষা করেন।

এর মাধ্যমে ১৯ ধরনের ‘মেটাবোলাইটস’ পাওয়া যায়, যা একজন মানুষের বডি ম্যাস ইনডেক্স’য়ের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে ‘গ্লুটামেট’ ও ‘বিসিএএ (ব্রাঞ্চড-চেইন অ্যান্ড অ্যারোমেটিক অ্যামিনো অ্যাসিড)’য়ের স্থূলতার সঙ্গে সবচাইতে শক্তিশালী সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।

সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মারজু ওরহো-মেলান্ডার বলেন, “গ্লুটামেট ও বিসিএএ’য়ের মাত্রা দেখে বডি ম্যাস ইনডেক্সের তারতম্যের অনেকটাই ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এ থেকে বোঝা যায়, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া আর মেটাবোলাইটস পরস্পর স্বাধীন থাকে না, একে অপরকে প্রভাবিত করে।”

আগের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ডায়বেটিস, স্থূলতা ও অন্ত্রের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন