ভবিষ্যতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারে এমন মানুষকে চিহ্নিত করা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াই ছিল গবেষকদের উদ্দেশ্য।
যেসব মানুষ অপরকে কষ্ট দিতে কিংবা নির্যাতন করতে পছন্দ করে এবং মানুষকে কষ্টের মোকাবেলা করতে দেখে যারা আনন্দ পায়, তাদেরই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি, বলছে এই গবেষণা।
ভার্জিনিয়া কমনয়েলথ ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, “স্যাডিজম’ হল একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট যা মানুষের প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করে।”
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডেভিড চেস্টার বলেন, “একজন প্র্রতিশোধ পরায়ণ মানুষের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম আমরা। জীবনে প্রতিটি মানুষেই কোনো না কোনোভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তবে কেউ তার প্রতিশোধ নিতে চান কেউ আবার চান না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যা খূঁজে পেয়েছি তার সারমর্ম হল, প্রতিশোধ সেই নিতে চায়, যে সেটাতে আনন্দ পায়।”
৬৭৩ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয় যা থেকে একজন মানুষের প্রকৃত আচরণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে গবেষকদের বিশ্বাস।
“যে আমাকে উসকানী দেয়, আমার দেওয়া শাস্তি তার প্রাপ্য।”, “যদি আমার সঙ্গে অন্যায় হয়, তবে তার প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।” এমনই কিছু বাক্যের সঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা সমর্থন করেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের কাছে।
কোন বিষয়টা মানুষকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উৎসাহীত করে সে সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকলে কে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠতে পারে তা আগেভাগেই চিহ্নিত করতে পারবেন গবেষকরা, নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও।
চেস্টার বলেন, “সহিংস কোনো ঘটনা ঘটার আগেই কার প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি সেটা জানতে পারলে অসংখ্য দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।”