রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী তাসনুভা মাহমুদ নওরিন।
উপকরণ: পূর্ণ ননিযুক্ত তরল দুধ ১ লিটার বা ৫ কাপ। টক দই ৩/৪ কাপ। কমলা খাবার রং সামান্য। অরেঞ্জ জেস্ট বা কমলার খোসা কুচি সামান্য (সালাদ কাটারে গ্রেইট করা)। কমলার রস ১ কাপ (ব্লেন্ড করে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নেওয়া)।
সিরার জন্য– চিনি দেড় কাপ। পানি ৫ কাপ।
পদ্ধতি: দুধ জ্বাল দেওয়ার সময় বার বার নেড়ে দেবেন যেন উপরে সর বসে না যায়।
দুধ ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে টক দই দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে আবার চুলা ধরিয়ে কম আঁচে চামচ দিয়ে হালকা ভাবে নাড়তে থাকবেন। আস্তে আস্তে দুধ ছানা হতে শুরু করেছে।
দুধ ও ছানার পানি যখন আলাদা হয়ে আসবে তখন ১ গ্লাস ঠাণ্ডা বরফ পানি ঢেলে চুলা বন্ধ করে দিন।
যখন পানি পড়া বন্ধ হয়ে যাবে তখন ছানা পাত্রে নিয়ে আলতো হাতে মথে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন খুব জোরে জোরে মথা যাবে না। শুধু দানাগুলো ভেঙে ছানাটা মিশে গেলেই হবে।
এবার কমলার খোসা ও খাবার রং মিশিয়ে বল বানিয়ে রেখে দিন। অন্যদিকে চুলায় চিনির সিরা বলক উঠলেই সব কমলাভোগ দিয়ে বেশি আঁচে ঢাকনা দিয়ে রাখুন।
ঢাকনায় কোনো ছিদ্র থাকলে সেটা বন্ধ করে দিন। তিন-চার মিনিট পর ঢাকনা খুলে একবার চামচ দিয়ে হালকা করে নেড়ে দিন।
এভাবে তিন-চার মিনিট পরপর ঢাকনা খুলে দেবেন যেন মিষ্টিগুলো চারপাশ সমান ভাবে ফুলতে পারে। আর ১ কাপ কমলার রস থেকে অর্ধেক অর্ধেক করে ঢেলে দেবেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগতে পারে।
কমলাভোগ হয়েছে কিনা বোঝার উপায় হচ্ছে- একটা বাটিতে পানি নিয়ে এর মধ্যে একটা মিষ্টি দিয়ে দিন। যদি পানির ভিতর ডুবে থাকে তাহলে মিষ্টি তৈরি।
চুলা বন্ধ করে মিষ্টিগুলো সিরার মধ্যে রেখে দিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মতো। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
নোট– তিন-চার বারের বেশি নাড়ার দরকার নেই। ঢাকনা খুলে একবার বাষ্প বের করে না দিলে মিষ্টি ফুলে ফেটে যেতে পারে। আবার অতিরিক্ত জ্বাল দিতে থাকলেও মিষ্টি ফুলে ফেটে যেতে পারে।
মিষ্টি হতে খুব বেশি হলে ১৫-২০ মিনিটের বেশি লাগে না। এর বেশি জ্বাল না দিলেই ভালো।
চিনির সিরা ঘন করা যাবে না। একবার বলক আসলেই মিষ্টি দিয়ে দিতে হবে। তারপর চুলার আঁচ বাড়িয়ে দেবেন। মিষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চুলার আঁচ একই থাকবে।
মিষ্টি হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা হতে ফ্রিজে রাখা যাবে না। রাখলে মিষ্টি শক্ত হয়ে যায়।
তাই সিরার মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। যত সময় যাবে মিষ্টির ভেতর সিরা ঢুকবে ফলে স্বাদ বাড়বে আর হবে নরম।
আরও রেসিপি