ব্রণ থেকে হতাশা

ব্রণের সমস্যা? নিশ্চয়ই মনটাও খারাপ। হতেই পারে! কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রণের সমস্যা থেকে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2018, 09:55 AM
Updated : 12 Feb 2018, 09:55 AM

আর সেটা হতে পারে পাঁচ বছরের মধ্যে। 

কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগারি’র পিএইচডি’র শিক্ষার্থী এবং এই গবেষণার প্রধান ইসাবেলা ভ্যালেরান্ড বলেন, “গবেষণাটি ত্বকের সমস্যা ও মানসিক সমস্যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দেয়।”

গবেষণার জন্য গবেষকরা ‘দ্য হেলথ ইমপ্রুভমেন্ট নেটওয়ার্ক (টিএইচআইএন)’য়ের ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যাদি নিয়ে কাজ করেন। ‘দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি’ জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’য়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, “সংগ্রহীত এই তথ্যের মধ্যে ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ’ ২৭ জন ব্রণের সমস্যায় আক্রান্ত নারী-পুরুষ। আর ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬শ’ ৮ জন ব্রণের সমস্যা ছাড়া।

এদেরকে পর্যালোচনা করা হয়েছিল দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাত থেকে ৫০ বছর বয়ষ্ক নারী-পুরুষ ছিলেন। তবে গবেষণায় শুরুতে ১৯ বছর বয়সিরাই ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ।”

তথ্যের পর্যালোচনায় জানা যায়, ব্রণের সমস্যা দেখা দেওয়ার এক বছরের মধ্যে মারাত্বক হতাশাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচাইতে বেশি। আর তা ব্রণের সমস্যায় আক্রান্ত নন এমন অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় প্রায় ৬৩ শতাংশ বেশি। তবে ক্রমেই এই সম্ভাবনা কমতে থাকে।

গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত করে যে, চিকিৎসকদের উচিত মারাত্বক ব্রণের সমস্যায় ভোগা রোগীদের মানসিক অবস্থার উপর নজর রাখা এবং প্রয়োজনে দ্রুত হতাশাগ্রস্ততার চিকিৎসার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া।

ভ্যালেরান্ড বলেন, “যেহেতু ব্রণের সমস্যা জানতে পারার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হতাশা রোগীদের গ্রাস করে, তাই বোঝা যায় বিষয়টা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কতটা শক্ত প্রভাব ফেলতে পারে।”

“এই রোগীদের জন্য ব্রণ শুধু সাধারণ ত্বকের সমস্যা নয়। তাই একে গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এটি গুরুতর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।”

আরও পড়ুন