বর্তমানে, সবাই চায় নিখুঁত তারুণ্যময় সৌন্দর্য। দুঃখজনক হল আমরা চাইলেও তারুণ্যের সময়টা ধরে রাখতে পারব না। তবে এর পরবর্তী সময়ে অ্যান্টি-এইজিং স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করতে পারি।
Published : 09 Feb 2018, 01:44 PM
ঠিক কোন সময় থেকে অ্যান্টি-এইজিং পণ্য ব্যবহার করতে হবে?- এটা হল লাখ টাকার প্রশ্ন।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অ্যান্টি-এইজিং পণ্য ব্যবহারের সময় সম্পর্কে জানা যায়।
* সত্যি বলতে এমন কোনো নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই যা সবাই মেনে চলবে- এশিয়াতে শুরু হয় ১৮ বছরে অন্যদিকে আমেরিকাতে ৩৫ বছরে।
যাহোক, বিশের মাঝামাঝি সময় থেকেই অ্যান্টি-এইজিং সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
শুরু করবেন কোথা থেকে?
রাতের পরিচর্যা থেকেই শুরু করা যাক। ঘুমাতে যাওয়ার আগে রেটিনল ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আপনার বয়স যদি ২০ বা তার আশপাশে হয়ে থাকে তাহলে এখনই কোলাজেন ভিত্তিক পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে একটু বাড়তি পরিচর্যা করতে চাইলে, চোখের নিচের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এতে চোখের নিচের কালোদাগ দূর হবে।
দিনের বেলায় এসপিএফ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যদি কোনো কারণে বাড়তি সুরক্ষার প্রয়োজন হয় তাহলে এর উপরে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
অতিরিক্ত রোদে যাওয়া দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ার অন্যতম কারণ। তাই শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
একটু বাড়তি যত্ন
যদি চোখের চারপাশের রেখা ও মুখের দাগ নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন তাহলে সিরাম অথবা ফেইস অয়েল ব্যবহার করুন। এটা ত্বকে টানটান ভাব আনতে সাহায্য করে। দাগছোপ থাকলে ‘কেমিকল পিল’ অর্থাৎ রাসায়নিক প্রসাধনী দিয়ে ত্বক এক্সফলিয়েট করে নিন। এটা ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করবে ও ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে। তবে এটা করতে হবে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত রূপসজ্জাকর দিয়ে।
তাই বলে নিয়মিত স্ক্রাব ব্যবহার বন্ধ করলে চলবে না। এটুকু নিশ্চিত করতে হবে যেন ত্বকে অতিরিক্ত স্ক্রাব ও ‘পিল’ না করা হয় কারণ অতিরিক্ত স্ক্রাব ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকারক।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন