প্রচারেই প্রসার- বাজারজাতকরণের এই নীতিতে অলিভ অয়েল আজ জনপ্রিয়। তবে এই তেল বেশিরভাগই আমদানি করা হয়। থাকে বোতলজাত অবস্থায়। তাই আমাদানির সময় থেকে খাবার টেবিলে আসা পর্যন্ত এই তেল টাটকা থাকে না।
ভারতীয় একটি পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে অলিভ অয়েল নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই তেলের পরিমাণ বাড়াতে অনেক সময় অন্যান্য তেলও মেশানো হয়। যা কিনা রান্নার সময় তেল গরম করলে একটু খেয়াল করলে ধরা যায়।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের মানুষ হিসেবে আমারা ছোটবেলা থেকে অন্যান্য তেল দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে বড় হয়েছি; অলিভ অয়েল নয়। তাই আমাদের জন্য এই অঞ্চলে উৎপাদিত খাবার তেলগুলোই শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদনে অলিভ অয়েলে বিকল্প হিসেবে অন্যান্য খাবার তেলের গুণাগুণ তুলে ধরা হয়। যেগুলোর দামও বোতলজাত অলিভ অয়েলের চাইতে কম তবে পুষ্টিগুণ বেশি।
নারিকেল তেল: ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’য়ে ভরপুর নারিকেল তেল শরীরে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই তেল দিয়েও তৈরি করতে পারেন ওমলেট, ভাজি, সালাদ এমনকি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট।
তিলের তেল: প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকে তিলের তেলে। তাই চাটনি বানাতে কিংবা সবজি রান্নায় এই তেল ব্যবহারযোগ্য।
সরিষার তেল: ‘ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ বা ‘আলফা লিনোলিনিক অ্যাসিড’ প্রচুর পরিমাণে থাকে এই তেলে। এছাড়াও আছে ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’।
চিনাবাদমের তেল: মনো-আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাট থাকে এই তেলে। আর এই তালিকার সবচাইতে উপকারি তেল এটি। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ‘ফাইটোস্টেরলস’ এবং ভিটামিন-ই’য়ের আদর্শ উৎস চিনাবাদমের তেল। তাই সালাদে জলপাই তেলের বদলে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
কাজুবাদামের তেল: প্রদাহরোধী উপাদান এবং ভিটামিন-ই মিলবে এই তেল থেকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মাখন, চাটনি, ঘি কিংবা সালাদ ড্রেসিং তৈরিতে এই তেল আদর্শ।
আরও পড়ুন