বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে কিশোরীদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিক চক্রের ঝুঁকি বাড়ছে। আর এই তথ্য পাওয়া গেছে একটি গবেষণায়।
Published : 30 Jan 2018, 12:20 PM
এই গবেষণার প্রধান ভারতীয় বংশদ্ভুত গবেষক শ্রুতি মাহালিঙ্গাইয়া বলেন, “প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসা কিশোরীদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এই রুটিনে স্থিতিশীলতা আসতেও সময় নেয় তুলনামূলক বেশি “
নিয়মিত বায়ুদূষণের সংস্পর্শে আসা বন্ধ্যাত্ব, বিপাকীয় বিভিন্ন সমস্যা এবং ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ ইত্যাদিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ায়।
বস্টন ইউনিভার্সিটি’র এই সহকারী অধ্যাপক আরও বলেন, “বায়ুদূষণের সঙ্গে হৃদরোগ এবং শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে আগের বিভিন্ন গবেষণায়। তবে এই গবেষণা অন্যান্য ঝুঁকির দিকেও ইঙ্গিত করে। যেমন, ‘রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইন সিস্টেম’কেও প্রভাবিত করতে পারে বায়ুদূষণ।”
নারীর ঋতুচক্র হরমোন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে গভিরভাবে জড়িত। দূষিত বায়ুতে থাকা নির্দিষ্ট কিছু উপাদান হরমোনকে প্রভাবিত করতে দেখা গেছে। তবে গবেষকদের মতে, এই গবেষণার আগ পর্যন্ত বায়ুদূষণের সঙ্গে অনিয়মিত ঋতুচক্রের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য গবেষকরা ‘নার্সেস হেল্থ স্টাডি টু’তে সংগ্রহ করা স্বাস্থ্য ও অবস্থান-বিষয়ক তথ্য এবং ‘ইপিএ এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম’য়ের মাধ্যমে বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ে পর্যালোচনা করে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা কতটুকু বায়ুদূষণের সংস্পর্শে এসেছে তা পরিমাপ করেন।
মাহালিঙ্গাইয়া বলেন, “দেখা যায়, স্কুলে থাকার বয়সে বায়ুদূষণের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে ঋতুচক্র অনিয়মিত হওয়ার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন