ভারতীয় পুষ্টিবিদ নমামি আগারওয়াল এবং প্রসাধনী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সৌলফ্লাওয়ার’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিত সারদা জানিয়েছেন তিলের গুণাগুণ সম্পর্কে।
ত্বকের সুস্বাস্থ্যে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ক্ষয়পূরণ করতে কার্যকর তিল। সাহায্য করে আর্দ্র এবং উষ্ণ রাখতেও। এর প্রদাহরোধী উপাদান ‘প্যাথোজেন’ ও অন্যান্য প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান অপসারণের মাধ্যমে ত্বকের লালচেভাব ও অন্যান্য সমস্যা সারাতে সাহায্য করে।
এই উপকার পেতে এক টেবিল-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ তিলের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার মুখ ধুয়ে মুছে আধ ভেজা অবস্থায় মিশ্রণটি মাখতে হবে। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এটি করতে হবে।
চুলের যত্নে: তিলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে চুল গজাতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক ময়েশ্চরাইজ করতে এবং সেখানে রক্ত সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে ‘হেয়ার ফলিকল’কে পুনরায় জীবিত করতে পারে তিল।
দুই টেবিল-চামচ তিলের তেলের সঙ্গে দুই থেকে তিন ফোঁটা রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল ও এক টেবিল-চামচ অ্যলোভেরা এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই মিশ্রণ মাথায় মালিশ করতে হবে এবং রাসায়নিক উপাদানহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
মুখগহ্বরের যত্নে: অন্যান্য ভোজ্য বীজজাতীয় খাবারের তুলনায় তিলে তেলের মাত্রা সবচাইতে বেশি। এটি দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা বের করার মাধ্যমে মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য রক্ষাতেও ভূমিকা রাখে।
হজম ক্রিয়া বাড়াতে: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে হজমক্রিয়ার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে তিল।
তেজষ্ক্রিয়তা থেকে রক্ষার্থে: ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কিংবা বিশেষ কোনো শারীরিক পরীক্ষার জন্য তেজষ্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসতে হয়। এই তেজষ্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে তিল উপকারী।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে: তিলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য উপাদান ইনসুলিন ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। উচ্চ রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি উপকারী।
চুল পাকা ঠেকাতে: এর ‘অ্যান্টি-এইজিং’ উপাদান চুলে পুষ্টি যোগায় এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে।
প্রদাহ রোধে: হাড়ের জোড়, হাড় ও পেশিতে হওয়া প্রদাহ সারাতে উপকারী তিল।
রোদপোড়া থেকে বাঁচাতে: প্রাকৃতিক অ্যাণ্টি-অক্সিডেন্ট ও এসপিএফ থাকে তিলে, যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচায়।
এত গুণের কথা জেনে সকাল বিকাল তিল খেতে বসে গেলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।
আরও পড়ুন -