ব্যবসায়িক ভ্রমণে মানসিক ঝুঁকি

কাজের প্রয়োজনে মাসে চার সপ্তাহের মধ্যে দুই সপ্তাহ যাদের বিভিন্ন জেলায় বা দেশে ঘুরে বেড়াতে হয় তাদের মধ্যে মানসিক অস্বস্তি, হতাশা, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2018, 10:31 AM
Updated : 11 Jan 2018, 10:31 AM

সেই সঙ্গে ধুমপান, সুযোগ পেলেই অলস সময় কাটানো ইত্যাদি বদভ্যাসও গড়ে উঠতে পারে।

কাজের প্রয়োজনে বাসার বাইরে রাত কাটানোর মাত্রা যত বাড়বে আচরণগত ও মানসিক দুরাবস্থাও তত অবনতির দিকে এগোবে, এমনটাই জানা গেছে গবেষণা থেকে।

যাদের মদ্যপানের অভ্যাস আছে তাদের ক্ষেত্রে মদের উপর নির্ভশীলতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু রান্ডল বলেন, “অফিসের কাজের  জেলা, বিভাগ কিংবা দেশের বাইরে যাওয়াকে কর্মক্ষেত্রে মর্যাদা বৃদ্ধির কিংবা উন্নয়নের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়। তবে এর খারাপ দিকও আছে। অতিরিক্ত ভ্রমণের সঙ্গে জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগবালাইয়ের ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভ্রমণের সময় বিভিন্ন প্রদাহ, হৃদরোগের ঝুঁকি, উগ্র মেজাজ, জখম ইত্যাদি এড়াতে যে প্রাথমিক চিকিৎসামূলক ওষুধ খাওয়া হয় সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও বাড়িয়ে আচরণগত ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ওষুধের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”

এবিষয়ক আগের গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত ভ্রমণ ওজন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত খাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির সঙ্গেও জড়িত।

এই গবেষণার জন্য ১৮ হাজার ৩শ’ ২৮ জন কর্মজীবীর স্বাস্থ্যগত তথ্যা পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। এই কর্মজীবীরা ২০১৫ সাল থেকে অফিসের খরচে নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন।

‘জার্নাল অফ অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভাইরোনমেন্টাল মেডিসিন’য়ে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, মৃদু থেকে তীব্র মাত্রার মানসিক অস্বস্তি ও হতাশাগ্রস্ততার উপসর্গ এই কর্মজীবীদের বেশিরভাগের মধ্যেই বিদ্যমান।

রান্ডল বলেন, “চাকরিজীবী এবং কর্মক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণকারী কর্মকর্তাদের উচিত কাজের প্রয়োজনে দূরদূরান্তে ভ্রমণকারী কর্মীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া। যাদের স্বাভাবিকের চাইতেও বেশি সময় ব্যবসায়িক ভ্রমণে কাটাতে হয় তাদের জন্য বাড়তি স্বাস্থ্যগত সুযোগ সুবিধা সরবরাহ করা উচিত।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন