খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ডালের উপকারিতা সম্পর্কে ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দিউকার বলেন, “আজকালকার স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে ডালের উপোরিতাগুলো গুরুত্ব পায় না। কেউ আবার মনে করেন, ডাল নাকি গরীবদের খাবার। নিজের সামাজিক মর্যাদা জাহির করতে যারা ডালকে খাদ্যাভ্যাস থেকে বাদ দিচ্ছেন তাদের জানা উচিত এতে কি ব্যাপক পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে, যা অন্য কোনো খাবারে পাওয়া যায় না।”
“ছোট দানাদার এই শষ্য আমিষে ভরপুর। এর আমিষের পরিমাণ চালের তুলনায় তিনগুণ আর গমের তুলনায় দ্বিগুন। কার্বোহাইড্রেইট, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদানও এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা ডালকে পরিণত করেছে স্বয়ংসম্পূর্ণ খাবারে। শরীরকে শক্তি যোগাতে এবং হজমশক্তিতে ডাল অনন্য। কারণ, এতে আছে উচ্চমাত্রায় স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আঁশ। এখানেই শেষ নয়, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, দস্তা ইত্যাদিরও আদর্শ উৎস এই ডাল। নিম্ন রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে উপকারী ভূমিকা রয়েছে এই শষ্যের।” জানালেন রুজুতা।
তাই সপ্তাহে একদিন হলেও মাছ-মাংস ছেড়ে ডাল ভাতের সঙ্গে ডাল খান।
আরও পড়ুন