কাঙাল হরিনাথের গল্প

ফিকির চাঁদ কিন্তু তার আসল নাম নয়, ছদ্মনাম। হরিনাথ মজুমদার তাঁর আসল নাম। কাঙাল হরিনাথ নামে তিনি অধিক পরিচিত। এই বাউল সাধকের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার কুমারখালী।

ফারুখ আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2017, 11:56 AM
Updated : 29 Dec 2017, 11:57 AM

যদি ডাকার মতো পারিতাম ডাকতে, তবে কি মা এমন করে তুমি লুকিয়ে থাকতে পারতে- গানটি একসময় বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে শোনা যেত। এখন গানটি কেউ কি মনে করেন বা গানের রচয়িতা ফিকির চাঁদকে?

হরিনাথ মজুমদার ওরফে ফিকির চাঁদ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ, সমকালিন। হলে কি হবে হরিনাথ মজুমদারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। কথিত আছে, সম্পর্ক এতটাই অবনতি হয়েছিল যে কবিগুরু হরিনাথ মজুমদারকে তাঁর কুঠিবাড়িতে ধরে নেওয়ার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী পাঠিয়েছিলেন।

সুফি বাউল লালন শাহ সে সময় লাঠিয়াল বাহিনী প্রতিহত করে শিষ্য হরিনাথ মজুমদারকে নিরাপদ করেছিলেন। শুধু একবার নিরাপদ করে শান্ত হননি। সাঁইজি দিনের পর দিন লোকজন নিয়ে পাহাড়া দিতেন হরিনাথ মজুমদারের বাড়ি ও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর বিখ্যাত সেই ‘প্রেস’টি।

স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়ার নকশায় কুমারখালীতে হরিনাথ মজুমদারের বাড়ির পাশেই নির্মিত হচ্ছে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সের কাজের অগ্রগতিসহ কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আসিফুর রহমান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী যাওয়ার পরিকল্পনা করে আমাদের কয়েকজনকে সঙ্গে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন।

মার্চ মাসের পর থেকেই প্রায় রুদ্ধকক্ষে পড়ে থাকার অবস্থা আমার, তার প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করলাম। এভাবেই এক সকালে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লাম।

ঢাকা ছেড়ে কুষ্টিয়া হয়ে কুমারখালী পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সেই সন্ধ্যা-রাতেই চলে যাই কাঙাল হরিনাথ কমপ্লেক্স। নির্মাণ পর্যায়ে হরিনাথ কমপ্লেক্স নিয়ে ঝারা এক বক্তৃতা দিয়ে ফেললেন আসিফ।

সেরাতে হরিনাথ কমপ্লেক্স চত্বর চোখ বুলিয়ে চলে আসি হরিনাথ মজুমদারের বাস্তুভিটায়। মোটামুটি খুব অল্প এলাকা নিয়ে হরিনাথ মজুমদারের বাড়িটি। সন্ধ্যা শেষে রাতের আগমনের বেদনার সঙ্গে সে রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া আমাদের জন্য আরও গভীর বেদনা হয়ে আসে। আসিফুর রহমান তারপরও কীভাবে যেন চার্জ লাইটের ব্যবস্থা করলেন।

চার্জ লাইটের সে আলোতেই আমরা হরিনাথ মজুমদারের বাড়ি ও প্রেস ঘুরে দেখলাম। সেই দেখাতে অনেক কিছুই অধরা ছিল, অতৃপ্তি ছিল। তারপর থেকেই সে অতৃপ্তি ঘোচানোর প্রানপণ চেষ্টা। কয়েকবার যাই যাই করে আর কুমারখালী যাওয়া হচ্ছিল না। শেষে এবছর আবার সুযোগ মিললো।

হেমন্ত শেষে শীত শুরু হয়েছে। মৌসুম শীত হলেও ঢাকায় শীত তেমন টানছে না। তেমন শীতের এক রাতে হানিফ পরিবহনের সেদিনের শেষ তাপানুকূল বাসে চেপে স্থপতি আসিফুর রহমানের সঙ্গী হয়ে কুষ্টিয়া রওনা হলাম।

পরদিন ভোরে কুষ্টিয়া পৌঁছে সোজা ডেরা গাড়ি গণপূর্ত ভবনের বিশ্রামাগারে। বিশ্রাম শেষে নাস্তা। তারপর সকাল দশটায় বের হয়ে গড়াই সেতুর ওপর দিয়ে কুষ্টিয়া থেকে কুমারখালী পৌঁছতে সময় বেশি লাগল না।

হরিনাথ কমপ্লেক্স।

কুমারখালী হরিনাথ মজুমদারের বাড়ির পথে যেতে যেতে পেছনে ফেলি মীর মোশারফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স, সাঁইজির মাজার ও শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। তারপর তো কুমারখালী হরিনাথ মজুমদার কমপ্লেক্স ও তার বাস্তুভিটার পথ, জায়গার নাম কুণ্ডুপাড়া।

আমরা কুণ্ডুপাড়া যাওয়ার আগে শেরকান্দির পথ ধরি। এপথের পুরোটাই অদ্ভূত মাদকতায় ভরা। এখানে কোনো সবুজ নেই, নদী নেই তবু ভালোলাগা অফুরান। কারণ, শেরকান্দি এলাকায় প্রবেশ করেই অতীতের সঙ্গে মিতালি হল। পুরো এলাকা জুড়েই পুরানো দিনের গল্প। রাস্তা ঘর-বাড়ি সবই ঠিক অতীত দিনের স্মৃতি বহন করে চলেছে।

ঘরবাড়িগুলো দেখে কখনও শ্যামবাজার বা তাঁতিবাজার আবার কখনও নবাবগঞ্জ দোহারের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আমরা সেই সব অতীত সঙ্গে করে এগিয়ে চলি। এক সময় পৌঁছাই কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্স।

গাড়ি থেকে নেমেই এক চক্কর ঘুরে দেখে নেই কমপ্লেক্স চত্বর। অল্প জায়গায় চমৎকার গোছানো কাজ বা নকশাদার কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্স সত্যি মনোমুগ্ধকর। দোতলার সামনে হরিনাথ মজুমদারের পুরান ভবনের মুল ফটকের আদলে নতুন ফটকটিই কমপ্লেক্স ভবনের মূল ডিজাইন।

কমপ্লেক্স চত্বরে ঢুকেই দেখা যাবে উন্মুক্ত মঞ্চ, পাশেই বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ বা শেষ ধাপের কাজ চলছে। বিক্রয় কেন্দ্রটি মজার বা ধারণাটাই নতুন। এখানে কেবল হরিনাথ মজুমদারের বই বা অনুসঙ্গ বিক্রয় হবে তা নয়। সাংস্কৃতি কর্মিরা বিশেষ দিবসে বইসহ বিভিন্ন বিক্রয় আয়োজন নিয়ে বসতে পারবেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি বা কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকিতে কাঙাল হরিনাথকে নিয়ে কিংবা নিজেদের বই ম্যাগাজিন ইত্যাদি বিক্রয় করতে পারবেন।

দোতলায় কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর। নিচ তলায় সেমিনার হল। অল্প জায়গায় এমন গুছানো কাজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার নয়।

প্রায় দুঘণ্টা গরমে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্সে কাটিয়ে এবার পথ ধরি তার বাস্তুভিটায়। বেশি নয় অল্প পথ চলেই পেয়ে যাই তার বাড়িটি।

কমপ্লেক্সের মতো তার বাস্তুভিটা বিরাট এলাকা জুড়ে নয়। অল্প জায়গায় তার বাস্তুভিটা চরম অবহেলায় পড়ে আছে।

শুরুতেই চোখে পড়ে ২০০৯ সালে নির্মিত কাঙাল হরিনাথ জাদুঘর ও পাঠাগার ভবন, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ এর  নির্মাতা। উদ্ভোদন করেছিলেন তৎকালিন সাংসদ বেগম সুলতানা তরুন, ব্যাস ওই পর্যন্তই। তারপর আর কোনো কিছুই আগে বাড়েনি। তারপরের গল্প ক্ষয়ে পড়া ও ধ্বংস হবার।

কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মুল ভিটায় জেলা পরিষদ ভবন লেখা সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা গেল। এই ভবনই কাঙাল কুটির নামে পরিচিত। যা পরে বিখ্যাত এমএন প্রেসের রূপ নেয়। আমরা এমএন প্রেসে প্রবেশ করি। চারিদিকে আবর্জনার স্তুপ। প্রেসের কিছুই অক্ষত নেই। সব কিছু চারিদিকে ছড়ানো ছিটানো। তবে প্রেসটি দৃষ্টি নন্দন।

প্রথম দেখাতেই চোখ জুড়ানোর মতো। যার নির্মাণ কাল ১৮৬৭ সাল। লন্ডনের ডিক্সন অ্যান্ড কোম্পানি এর নির্মাতা। যার মডেল নাম্বার কলম্বিয়া ১৭০৬। প্রেসটির ওজন ৩০ থেকে ৩৫ মন। তিন থেকে চারজন লোক প্রতিদিন ডাবল ক্রাউন সাইজের এই মেশিনে ছাপা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৫ থেকে ১৬ বছর আগেও প্রেসটি সচল ছিল। মানুষের দেহ সমাহিতের পর মাটি ফুঁড়ে বের হওয়া হাড়-গোড়ের মতোই বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কাঙাল কুঠিরে ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেলো। আর দেয়ালে ঝুলে আছে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রেসে ছাপা হওয়া লিফলেট, পোস্টার ও বিভিন্ন পত্রিকার ফটোকপি।

অনেকেই বলেন কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মূল্যায়ন হল না। আমি ভাবি অন্যভাবে, কাঙাল পরিবার কি করলো আসলে। তারা কি কাঙালকে মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যদি তাই হত, তাহলে আজ কাঙাল কুঠিরের এমন বেহাল অবস্থা কি হয়! সব কিছুই থাকত ঝকঝকে তকতকে!

একজন বাউল সাধক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হরচন্দ্র মজুমদার, মায়ের নাম কমলীনি দেবী। বাবা-মাকে শৈশবে হারিয়ে দুঃখ-দুর্দশার মধ্যেই বেড়ে ওঠেন হরিনাথ। পাশাপাশি দেখেন এলাকাবাসির দুঃখ-দুর্দশা। এসব কিছু তাকে সংগ্রামী করে তোলে। এভাবেই তিনি গ্রামবাসির হাতিয়ার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন।

কাঙাল হরিনাথ মজুমদার একাধারে বাউল সাধক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং নারী জাগরণের অন্যতম দিকপাল হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৮৬৩ সালে তিনি কুমারখালীতে একটি মেয়েদের স্কুল নির্মাণ করেন। যার নাম কুমারখালী পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্বয়ং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর সে সময় স্কুলটির উদ্ভোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৮৭৩ সালে বন্ধু ও সহযোদ্ধা অক্ষয় মৈত্রেয়’র বাবা মথুরানাথ মৈত্রয়’র আর্থিক সহায়তায় কুমারখালীতে এমএন প্রেস গড়ে তোলেন। তার আগে ১৮৫৭ সালে হাতে লেখা প্রকাশনা গ্রাম্যবার্তা দিয়ে কাঙাল হরিনাথের সাংবাদিকতার জীবন শুরু।

গ্রাম্য বার্তার মাধ্যমে কাঙাল হরিনাথ মজুমদার নীলকরদেরসহ সে সময় জমিদারদের অত্যাচার ও অনাচারের বাস্তবতা তুলে ধরেন। তাছাড়া নিজের সাধনা, দর্শন ও সাহিত্যচর্চা তো ছিলই।

সাত বছর পর ১৮৬৩ সালে কলকাতার গ্রিশ চন্দ্র বিদ্যা প্রেস থেকে গ্রাম্যবার্তা নিয়মিত প্রকাশ শুরু হয়। যার পূর্নাঙ্গ রূপ পায় ১৮৭৩ সালে এমএন প্রেস স্থাপিত হলে।

কমপ্লেক্স চত্বর নির্মাণ হলে প্রেসটি সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। দেড়শ বছর আগের একটি প্রেস। যা থেকে নিয়মিত পত্রিকা বের হত। মীর মশাররফ হোসেনের অমর সৃষ্টি বিষাদসিন্ধু কাঙাল হরিনাথের এমএন প্রেসেই ছাপা হয়েছিল। সাঁইজি লালন শাহসহ মশাররফ হোসেন ও জলধর সেনের হাতের স্পর্শ পড়েছিল এখানে।

হরিনাথ মজুমদার বা ফিকির চাঁদ ১৮৮০ সালে কাঙাল ফকির চাঁদের দল নামে একটি বাউল গানের দল গঠন করেছিলেন। তার বাউল গানগুলো ফকির চাঁদের গান হিসেবেই পরিচিতি ও প্রসিদ্ধ লাভ করে বলে বিভিন্ন লেখা থেকে জানা যায়।

তার গানের কথা ও সুরের সহজ ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয়তা পেতে বেশি সময় লাগেনি। ফিকির চাঁদ নিজেই দলবল নিয়ে তার রচিত গান গেয়ে বেড়াতেন। তার সে গান শুনতে স্বয়ং লালন শাহ কাঙাল কুটিরে আসতেন। কাঙাল হরিনাথের আরেকটি উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে-

ওহে (হরি) দিন তো গেল, সন্ধ্যা হল, পার করো আমারে, তুমি পারের কর্তা, শুনে বার্তা, ডাকছি হে তোমারে।

দিনে দিনে ফিকির চাঁদ ও কাঙাল কুঠিরের নাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই এক লেখায় শেষ করা যাবে না।

কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস ঘরে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বোমা ফেলেছিল। সে সময় প্রেসটি অক্ষত থাকলেও প্রেসঘর বা কাঙাল কুঠিরের বেশ ক্ষতিসাধন হয়।

শেষ বলে কিছু নেই

কাঙাল হরিনাথের শেষ ইচ্ছে ছিল তাকে পুরোপুরি দাহ্য করা যেন না হয়। তার ইচ্ছে অনুযায়ী তার হাতের কনিষ্ঠা, মাথার খুলি আর বাম পায়ের বুড়ো আঙুলসহ দাহ শেষে ছাইভস্ম তার নিজের পূজার ঘরে সমাহিত করা হয়।

আমরা সেই পূজার ঘরে আসি। কাঙাল কুটিরে আসার পর ফিকির চাঁদের পঞ্চম বংশধর স্বর্গীয় অশোক মজুমদারের ছোট ছেলে দেবাশীষ মজুমদার ও তার মা গীতা মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।

গীতা মজুমদার জানালেন দিনে তিনবার এখানে পূজা হয়। পূজার ঘরে কাঙাল হরিনাথের একটা বাঁধাই করা অস্পষ্ট ছবি দেখতে পেলাম। আরও রাখা আছে হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত খড়ম ও তার ত্রিশুল।

হরিনাথ পরিবারের সর্বশেষ দাবি ছিল কমপ্লেক্স হলেও যেন পূজার ঘরটি অক্ষত থাকে। তানা হলে কাঙাল হরিনাথের ভিটা দেখার উৎসাহ কারও থাকবে না। শুধু তাই নয় কমপ্লেক্সের পাশাপাশি কাঙাল কুটির ও মন্দিরটি সংরক্ষণেরও দাবি জানান মজুমদার পরিবার!

প্রয়োজনীয় তথ্য

লেখার শুরুতেই বলেছি কুমারখালী কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত। রাজধানী থেকে কুষ্টিয়া সকাল সন্ধ্যা সরাসরি বাস চলাচল রয়েছে।

ঢাকার গাবতলি থেকে যে কোনো বাসে চেপে বসলেই হবে, চলে যাবেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী। কুষ্টিয়া থাকার জন্য মিতা, কামাল ও ফিন টাওয়ারসহ ভালো কিছু আবাসিক হোটেল আছে। থাকার ব্যবস্থা করা যাবে জেলা সার্কিট হাউজ ও পৌর হলে। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকেই থাকার ব্যবস্থা করে যেতে হবে।

কুষ্টিয়া বেড়ানোর জন্য এখানকার স্থানীয়ভাবে নির্মিত বাহন আলম সাধু দারুণ জনপ্রিয়। ইঞ্জিন চালিত বড় ধরনের ভ্যানগাড়ি সমীরণ করিমন বা ভটভটিকে এখানে বলা হয় আলম সাধু।

আলম সাধুর যাত্রি হয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন পুরো কুষ্টিয়া শহর। দেখতে পাবেন কাঙাল হরিনাথ কমপ্লেক্সসহ শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, মীর মশাররফ হোসেন কমপ্লেক্স, লালন আখড়া ও পদ্মা নদী।

খাওয়ার চিন্তা একেবারেই করবেন না। কুষ্টিয়ায় খাবারের ভালো ব্যবস্থা পাবেন। আর এখানকার দই-মিষ্টি স্বাদ একবার নিলে বারবার নিতে মন চাইবে!

ছবি: লেখক।