অর্গানিক ইন্ডিয়া’র আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নুরুল আমিন জানিয়েছে কীভাবে এই শীতেও থাকবেন সুস্থ।
শরীর শোধনে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এই তরলকে জাদুর শরবত বলা যেতে পারে। কারণ শীত মৌসুমে সাইনাসের সমস্যা দূরে রাখতে পারে এই ভিনিগার। এতে শরীর ও রক্তও পরিশোধিত হবে। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে দীপ্তিহীন চুলে উজ্জ্বলতা ফেরাতে আর মলিন ত্বক প্রাণবন্ত করতে এই তরলের জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিন সকালে কয়েক ফোঁটা পান করার অভ্যাস করুন।
তুলসি চা: শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। যা থেকে ‘ফ্লু’তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তুলসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাসের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে। আর সার্বিকভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়, শক্তি বাড়ায় এছাড়া কোনো প্রকার দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে। এই পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানের ভালো উৎস।
শুষ্ক ত্বকের জন্য নারিকেল তেল: শীতের অন্যতম সমস্যা হল শুষ্ক ত্বক। কারণ আর্দ্রতার অভাব। আর এই অভাব দূর করতে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নারিকেলে তেলে হতে পারে উৎকৃষ্ট উপাদান। বেশি ব্যবহারে এটা ত্বক আর্দ্র রাখতে পারে। এতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল’ উপাদান যা ত্বককে রাখে সুস্থ।
ভারতের হিমালয় অঞ্চলের স্পা রিসোর্ট ‘আনান্দ’য়ের জ্যেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রাঘুবাঁশ সিং আরও কয়েকটি আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি দিয়েছেন।
* শীতের সময় প্রতিদিন শরীরে তেল মেখে গোসল করার অভ্যাস করুন। এটা আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে রক্ষা করবে। আর সারাদিন রাখবে দীপ্তিময়।
* সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস করতে হবে। তবে ঠাণ্ডা নয়, হয় কুসুম গরম অথবা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি পান করুন।
* ঔষধি ধরনের ফল ও খাবার যেমন আমলা, অ্যালোভেরা, শুন্তি, ত্রিফলা, চন্দন, অনন্তমূল- এগুলোতে প্রাকৃতিকভাবেই রয়েছে শরীর পরিশোধনের উপাদান। এছাড়া দেহের আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করে।
আরও পড়ুন