হলিক্রস কলেজের তৃষা বলেন, “হুডি পরে আমি বেশি আরাম পাই। এটা জিন্সের সঙ্গে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া কামিজ বা ফতুয়ার সঙ্গেও হুডি পরা যায়।”
এতে টুপি সংযুক্ত থাকায় কানে ঠাণ্ডা বাতাস লাগেনা। তাছাড়া হুডিতে সবাইকে অনেক স্মার্টও লাগে বলে জানান তিনি।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী পূজা বলেন, “অনেক সকালে আমার ক্লাস থাকে আর শীতকালে সকালের বাতাস বেশ ঠাণ্ডা। তাই ক্লাসে যাওয়ার জন্য হুডিকেই বেছে নেই। কারণ এতে টুপি থাকে ফলে কানে বাতাস লাগে না। আর আমাকে আলাদ করে মাথা বা কান ঢাকার টুপি নিতে হয় না।”
ছেলেদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে হুডি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউসার আহমেদ বলেন, “হুডি দেখতে খুব স্টাইলিশ তাছাড়া এটা শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। একটু মোটা কাপড়ের হুডি যার টুপিটা বেশ ফোলা থাকে এমন হুডিই আমার বেশি পছন্দ।”
বাজার ঘুরে নানা নানা ধরনের কাপড়ের হুডি দেখা যায়। এদের কোনোটা বেশ পাতলা, কোনোটা মোটা, কোনোটার ভেতরে কম্বল বা দুই স্তরের কাপড় দেওয়া।
এছাড়াও গেঞ্জি, সুতি, গ্যাবার্ডিন, প্যারাসুট কাপড় ও ভেতরে মোটা সুতির কাপড়ের হুডি দেখা যায়।
মার্কেটে হুডির চাহিদা কেমন জানতে চাইলে নিউমার্কেটের বিক্রেতা জসীম বলেন, “শীতকালে হুডির কেনা বেচাই বেশি। কলেজ আর ভার্সিটির ছেলে মেয়েরাই এটা বেশি পছন্দ করে। আর দামও খুব বেশি না।”
বাজার ঘুরে দেখা যায় কাপড় ও হুডির নকশার ভিত্তিতে ৫শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার দামের হুডি পাওয়া যায়। তবে ৫শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার মধ্যকার হুডির বেচাকেনা বেশি।
সাধারণত, মানভেদে সুতি ও গেঞ্জি কাপড়ের হুডি ৫শ’ থেকে ১২শ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। গ্যাবার্ডিনের হুডির দাম ১ হাজার থেকে আড়াই হাজারের মধ্যে। প্যারাসুট কাপড়ের হুডির দাম ৮শ’ টাকা থেকে শুরু।
তবে যে কোনো কাপড়ের ভিন্ন নকশা ও উন্নত চেইনের জন্য গুনতে হয় বাড়তি টাকা।
প্রচ্ছদের ছবির মডেল: শিহাব শাহরিয়ার। মেইকআপ: আহান রহমান। ছবি: রাউফুন নূর রাতুল। স্টুডিও: ইমাজিন ইট।