চিকিংসাবিজ্ঞানের সূত্র ধরে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে স্বাভাবিকের তুলনায় দৈনিক জলবিয়োগের মাত্রা কম বা বেশি হওয়া কী কী ইঙ্গিত দেয় তা এখানে দেয়া হল।
দৈনিক এক থেকে দুবার: দৈনিক জলবিয়োগের মাত্রা এক থেকে দুইবার হলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় পানি আপনি পান করছেন না। পানি পানের মাত্রা বাড়ানোর পরও যদি জলবিয়োগের মাত্রা না বাড়ে তবে তা বৃক্কের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।
জলবিয়োগের স্বাভাবিক মাত্রা: এই মাত্রা নির্ভর করে আপনার মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতার উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় থেকে আটবার প্রস্রাব হওয়া উচিত। আবার পানির মাত্রা যদি পর্যাপ্ত হয় তবে চার থেকে ১০বার প্রস্রাব হওয়াকে স্বাভাবিক বলা যেতে পারে।
ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কখন সমস্যা হিসেবে ধরা হয়: হঠাৎ করেই প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূত্রথলির অতিরিক্ত সক্রিয়তাজনীত সমস্যা দায়ী হতে পারে। এই সমস্যায় মূত্রথলি যে পরিস্থিতিতে সংকুচিত হওয়ার কথা নয়, সে অবস্থাতেও সংকুচিত হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ হতে পারে মূত্রথলির অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা, যা ঘন ঘন জলবিয়োগের উদ্রেক করে। এই সমস্যা যদি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা: বিষয়টি বয়সের উপর নির্ভরশীল। বয়স যত বাড়ে, মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা ততই কমতে থাকে। ধারণ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রকের আরেকটি দিক হল আপনার উচ্চতা। পাঁচ ফুট উচ্চতার একজন ব্যক্তির মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা ছয় ফুট উচ্চতার একজন ব্যক্তির তুলনায় কম হয়।
রাতে জলবিয়োগ: রাতে ঘুমের মধ্যে একেবারেই জলবিয়োগের বেগ না আসা কিংবা একবার জলবিয়োগ করা স্বাভাবিক। তবে একাধিকবার জলবিয়োগের তাড়নায় ঘুম ভেঙে গেলে তা স্বাভাবিক নয়। যদিও বয়সের সঙ্গে আপনার জলবিয়োগের মাত্রা বাড়বে, তারপরও চিকিৎসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নেওয়াই নিরাপদ।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন